মুন্সীগঞ্জে হত্যা মামলায় দুই ভাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলায় হত্যা মামলায় দুই ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এ সময় মামলার আরো ৭ আসামীকে ঘটনার বিষয়ে প্রমানিত না হওয়ায় বেকসূল খালাস দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১১জুন) দুপুর ১২ টার দিকে জেলা অতিরিক্তি দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক বেগম খালেদা ইয়াসমিন উর্মি এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. হাছান ছারওয়াদী।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় ছয় আন্দোলনকারীকে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ ২১ আগস্ট
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের মান্নান চোকদারের ছেলে নূর হোসেন চোকদার (৪৮) ও আনোয়ার হোসেন (৩৮)।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, ২০১৩ সালের ১২ নভেম্বর রাত সাড়ে ৭ টার দিকে রতনপুর গ্রামের ছাদেকুল ইসলাম ও তার ভাতিজা শাকিল বাড়ি হতে বের হয়ে তাদের বাড়ির পাশের রাস্তায় আসলে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরাসহ আরো ৭ জন মিলে ছাদেকুল ইসলামকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মারধোর করে। এ সময় আসামী নূর হোসেনের হুকুমে আনোয়ার হোসেন বন্দুক দিয়ে ছাদেকুলকে হত্যা করার জন্য গুলি ছুড়ে। আসামী নূর হোসেন রামদা দিয়ে ছাদেকুলকে কুপিয়ে জখম করে।
আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের 'গোপন বৈঠকে' অংশ: মেজর সাদিকুলের স্ত্রীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
অন্যান্য আসামীরা ছাদেকুলকে পিটিয়ে শারা শারিরে জখম করে। গুলির শব্দ পেয়ে ছাদেকুলের মেয়ে শারমিন ও তার চাচী হালিমা বেগম এগিয়ে এসে লোকজনের সহায়তায় ছাদেকুলকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কতৃর্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।
এ ঘটনায় ছাদেকুলের স্ত্রী আসমা বেগম বাদী হয়ে ২০১৩ সালের ১২ নভেম্বর সদর থানায় ৯ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা হওয়ার পর হতে এই মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত দুই আসামীরা পলাতক রয়েছে। মামলায় ১৩ জন সাক্ষীর জেরা ও জবানবন্দীর ভিত্তিতে আদালত এ রায় দেন আদালত।
এ ব্যাপারে সরকার পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. সিরাজুল ইসলাম পল্টু জানান, সদর উপজেলার রতনপুর গ্রামের ছাদেকুল হত্যা মামলায় আসামী নূর হোসেন চোকদার ও অপর আসামী আনোয়ার হোসেনকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম করাদন্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। এ সময় অপর ৭ জন আসামীকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আদেশের সময় খালসপ্রাপ্ত ৭ আসামী আদালতে হাজির থাকলেও দন্ডপ্রাপ্ত ২ আসামী হাজির ছিলনা। বিচারকের রায়ে রাস্ট্র পক্ষ আমরা মেনে নিয়েছি। তবে খালাসপ্রাপ্ত ৭ আসামী হত্যার সাথে জড়িত আছে মর্মে বাদী ৭ আসামীর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল করিবে।