তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের রায় ২০ নভেম্বর

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:৫০ অপরাহ্ন, ১১ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১:৫০ অপরাহ্ন, ১১ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে করা আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ২০ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) রায় ঘোষণা করবেন আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন।

আরও পড়ুন: হাসিনার রায় ঘিরে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

টানা ১০ দিন শুনানি শেষে দেশের সর্বোচ্চ আদালত এই ঐতিহাসিক মামলার রায়ের দিন ঠিক করলেন। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন—বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি মো. রেজাউল হক, বিচারপতি এস এম ইমদাদুল হক, বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।

আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া। বিএনপির পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির যুক্তি উপস্থাপন করেন।

আরও পড়ুন: ৫ মামলায় জামিন পেলেন সেলিনা হায়াৎ আইভী

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এবং অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক।

গত ২১ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে করা আপিলের শুনানি শুরু হয়। এর আগে গত ২৭ আগস্ট হাইকোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) অনুমতি দেয় আপিল বিভাগ।

এরপর ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এ বিষয়ে পৃথকভাবে আপিল করেন।

সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত হয় ১৯৯৬ সালে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে। ১৯৯৮ সালে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। হাইকোর্ট ২০০৪ সালে সংশোধনীটিকে বৈধ ঘোষণা করলেও ২০১১ সালে আপিল বিভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতে এটি বাতিল করে দেন।

এরপর একই বছর পাস হয় সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী, যার মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়।

২০২৪ সালের আগস্টে সরকার পরিবর্তনের পর পুনর্বিবেচনা আবেদন করা হয়। এতে আবেদনকারী হিসেবে রয়েছেন বদিউল আলম মজুমদার, তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান। পরবর্তীতে বিএনপি, জামায়াত ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও পৃথক আবেদন করেন।