রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী
শুভ বড়দিন: ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে ও নানা আয়োজনে পালনের প্রস্তুতি

যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ আজ রোববার শুভ বড়দিন উপযাপন করবে। ধর্মীয় এই উৎসবটি হলো যিশু খ্রিস্টের পুনর্জন্ম উদযাপন, একটি নতুন সূচনা, ক্ষমা ও শান্তি এবং ঈশ্বর ও মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করা।
রঙিন বাতি দিয়ে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো, বিশেষ প্রার্থনা, শিশুদের মাঝে উপহার বিতরণ এবং স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এ উৎসবের মূল অনুষঙ্গ। গির্জায় প্রার্থনা শুরু ও শেষের পর গাওয়া হয় বড়দিনের বিশেষ গান ও বন্দনা সঙ্গীত।
আরও পড়ুন: নগরজুড়ে অবৈধ সিসাবার, স্পা জুয়াসহ নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ড
বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তাঁর বার্তায় বলেছেন, ‘খ্রিস্টান সম্প্রদায়সহ সবার জন্য বড়দিন বয়ে আনুক অনন্ত আনন্দ ও কল্যাণ। সবার জীবন সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক।’
আরও পড়ুন: মিশন থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানো নিয়ে যা বললেন পরিবেশ উপদেষ্টা
প্রধানমন্ত্রী এ উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়সহ সব নাগরিকের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন এবং একটি সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক ও শান্তিপূর্ণ জাতি গঠনে সবাইকে সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানান।
বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বঙ্গভবনে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের আর্চবিশপ, বিভিন্ন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধি, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, ধর্মীয় নেতা ও পেশাজীবীরা অংশ নেবেন।
বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার এবং অন্যান্য বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও স্টেশন দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।