সৌদি আরব বাংলাদেশে বড় আকারের বিনিয়োগ করতে চায়

বাংলাবাজার পত্রিকা ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩:২৬ অপরাহ্ন, ২৪ মে ২০২৩ | আপডেট: ১০:৪২ পূর্বাহ্ন, ২৪ মে ২০২৩
ছবি : বাসস
ছবি : বাসস

সৌদি আরব বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বড় আকারের বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। স্থিতিশীল সরকার এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ভালো রেকর্ড থাকার কারণেই বাংলাদেশের প্রতি সৌদির এই প্রস্তাব। 

সৌদি আরবের বিনিয়োগ মন্ত্রী খালিদ এ আল-ফালিয়াহ এবং অর্থনীতি ও পরিকল্পনা মন্ত্রী ফয়সাল আলিব্রাহিম  সাক্ষাৎ করার সময় এ প্রস্তাব দেন।

আরও পড়ুন: ৮ উপদেষ্টার দুর্নীতির কথিত অভিযোগ দেয়ার পর সাত্তারের ফোন বন্ধ, বিএনপির অস্বীকার

মঙ্গলবার (২৩ মে) দোহায় সৌদির বিনিয়োগ মন্ত্রী খালিদ এ আল-ফালিয়াহ এবং অর্থনীতি ও পরিকল্পনা মন্ত্রী ফয়সাল আলিব্রাহিম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার ভবনে সাক্ষাৎ করার সময় বড় আকারের বিনিয়োগের এ প্রস্তাব দেন।

বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন দুই মন্ত্রীর বরাত দিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে বলেন, বিনিয়োগকারী হিসেবে আমরা খুব কম ইস্যু দেখি। প্রথমত, দেশের স্থিতিশীলতা, ব্যবসায়ীরা স্থিতিশীল কি না, বিনিয়োগের ভবিষ্যৎ। বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ খুবই ভালো এবং সে কারণেই আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

আরও পড়ুন: গোয়েন্দা জিজ্ঞাসাবাদে সুমাইয়া জাফরিনের দায় স্বীকার করে ভয়ংকর তথ্য

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল। 

ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ হিসাবে বাংলাদেশের প্রশংসা করে মন্ত্রীরা বলেন, বাংলাদেশের নেতৃত্ব খুবই ভালো, দৃষ্টিভঙ্গি ভালো এবং তাদের প্রতিশ্রুতি খুবই ভালো। দেশে একটি স্থিতিশীল সরকার রয়েছে এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি খুবই ভালো।

তারা জানান, এরইমধ্যে তারা কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছেন যার মধ্যে তারা পতেঙ্গা বন্দরের জন্য কিছু করতে চান এর পাশে অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন করতে চান।

বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনা করে একটি আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায় সৌদি আরব। কারণ দেশটি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে অবস্থিত। আমরা যদি এটিকে আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলি, তাহলে আমরা ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং আরও অনেক দেশ কভার করতে পারব, তারা বলেন।

দুই মন্ত্রী বলেন, তারা এখানে পেট্রোকেমিক্যাল, ডিজেল, জেট  ফুয়েল, সার এবং প্রধান বিতরণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি শিপিং লাইন করতে চান।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি এরইমধ্যে অনুমতি দিয়েছেন। এটি অবিলম্বে চালু করার আহ্বানও জানিয়েছেন।

শেখ হাসিনা পারস্পরিক সুবিধার জন্য সৌদি আরবকে মাতারবাড়ি ও পায়রা সমুদ্র বন্দর এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাবও দেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগ সহজ করতে কোনো বাধা থাকলে তা দূর করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

পারস্পরিক সুবিধার জন্য কৃষির মতো বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরব অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে চায়।

এ বিষয়ে সৌদির দুই মন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে প্রয়োজনীয় আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন।

হজ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনাকালে মন্ত্রীদ্বয় সৌদিতে আবাসন ও হাসপাতাল তৈরিতে বাংলাদেশকে বিনিয়োগের জন্য অনুরোধ করেন।

সৌদি আরবের দুই মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে উভয় দেশের মানুষের সুবিধার জন্য সৌদি আরবে ওষুধ, পানীয় এবং রিয়েল এস্টেট শিল্প গড়ার অনুরোধ জানান।

সৌদি বিনিয়োগ মন্ত্রী ও অর্থনীতি মন্ত্রী সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ এর লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন।

মন্ত্রীদ্বয় বাংলাদেশের আরএমজির প্রশংসা করে বলেন, এটি বিশ্বের টেক্সটাইল ও গার্মেন্টসের রাজধানী হয়ে উঠেছে।