অবশেষে হজে গেলেন প্রতারণার শিকার ৫৩৮ জন

৫৩৮ হজযাত্রীর টাকা নিয়ে পালিয়ে যান এসএন ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরসের মালিক শাহ আলম। অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে তাদের হজযাত্রা। অবশেষে হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (হাব) মধ্যস্থতায় ৫৩৮ হজযাত্রী সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন।
জানা গেছে, ওই হজযাত্রীদের কাছ থেকে হজের জন্য টাকা নিয়েছিলেন এসএন ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরসের মালিক শাহ আলম। এরমধ্যে প্রায় ৭৫ জনের ভিসাও করেছিল এজেন্সিটি। ৯০ জনের টিকিট কনফার্ম করলেও তাদের বাড়ি চূড়ান্ত করেনি। হুট করেই লাপাত্তা হয়ে যায় এসএন ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরসের মালিক শাহ আলম। রাজধানীর শ্যামপুর থানা এলাকার জুরাইনে তার অফিসে গিয়েও হজযাত্রীরা তার কোনও খবর পাচ্ছিলেন না। মোহাম্মদপুরে শাহ আলমের অন্য আরেকটি অফিসে গিয়েও কোনও সমাধান পাচ্ছিলেন হজযাত্রীরা। পরবর্তীতে হজযাত্রীরা জুরাইনে বিক্ষোভ করেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ আমলে ব্যাংক খাতে ব্যাপক লুটপাট ও অর্থপাচার: অর্থ উপদেষ্টা
এমন পরিস্থিতিতে বিষয়টি নজরে আসে ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের। হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশনের বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম এই হজযাত্রীদের সৌদি পাঠাতে তৎপরতা শুরু করেন।
এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, আমাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল নিবন্ধিত কোন হজযাত্রী যেন বাদ না পড়েন। আমরা প্রত্যেক হজযাত্রীর বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। এসএন ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস কতজনের ভিসা করেছে, কতজনের বিমানের টিকিট কেটেছে, বাড়ি ভাড়া করেছে সেই তথ্য নিয়েছি। পরবর্তীতে ব্যাংকের সহায়তায় হজযাত্রীদের বিমান টিকেটের জমা টাকা নিয়ে টিকিট কনফার্ম করা হয়েছে। যাদের ভিসা হয়নি তাদের ভিসাও করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারকে এক মাস সময় দিলেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা
এই হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানালেন হাব সভাপতি। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার বলেন, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি সবাইকে হজে যাবার ব্যবস্থা করতে। আমরা সামগ্রিকভাবে সবার সহায়তা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
এসএন ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরসের মালিক শাহ আলমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রসঙ্গে ধর্ম সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার বলেন, আমরা এখনও তার কোনও সন্ধান পাচ্ছি না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়ন্দা সংস্থা তার খোঁজ নিচ্ছে।