জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য নিরাপত্তায় ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম গঠন

Shakil
মোয়াজ্জেম হোসেন
প্রকাশিত: ৩:১০ অপরাহ্ন, ১২ অগাস্ট ২০২৩ | আপডেট: ১১:০১ পূর্বাহ্ন, ১২ অগাস্ট ২০২৩
(no caption)
(no caption)

বাংলাদেশের প্রায় ১২ কোটি নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট এনআইডি রয়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হাতে। নাগরিকদের এই তথ্যভাণ্ডারের ডিজিটাল নিরাপত্তা দিতে নিজস্ব জনবলের সমন্বয়ে ‘কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম’ গঠন করেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।

কারিগরি সদস্যদের নিয়ে এই টিম গঠন করেছে ইসি। এই টিম সাইবার হামলা হলে তাৎক্ষণিক প্রতিকারের ব্যবস্থা নেবে এবং সাইবার হামলা রোধেও উদ্যোগ নেবে। এনআইডি উইংয়ের সিস্টেম এনালিস্টকে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্য ও একজন সদস্য সচিব নিয়ে মোট আট জনের ‘কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম’ গঠন করা হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিবকে বিষয়টি অবহিত করেছে ইসি সচিবালয়।

আরও পড়ুন: পাকিস্তান-বাংলাদেশ একে অপরকে সহায়তা করবে

কারা আছেন এবং কী কাজ করবে ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সিস্টেম এনালিস্ট আক্তারুজ্জামানকে আহ্বায়ক করে গঠিত কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিমে আরও রয়েছেন- উপ-প্রকল্প পরিচালক (ডেটাবেজ) মেজর মো. মামুনুর রশীদ, রক্ষণাবেক্ষণ প্রকৌশলী মোহাম্মদ সোহাগ, প্রোগ্রামার মো. সিরাজুল ইসলাম, নেটওয়ার্ট কনসালট্যান্ট মো. শওকত আকবর মুন্সি, ডেটাবেজ কনসালট্যান্ট টিপু সুলতান, সহকারী প্রোগ্রামার নুসরাত জাহান উর্মি এবং সহকারী প্রোগ্রামার আমিনুল ইসলাম।

আরও পড়ুন: একুশে বইমেলা যথা সময়েই হবে - প্রেস সচিব

কার্যপরিধির মধ্যে রয়েছে- গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসেবে নির্বাচন কমিশনের জরুরি ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, সাইবার বা ডিজিটাল হামলা হলে এবং সাইবার বা ডিজিটাল নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিকারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া। সম্ভাব্য ও আসন্ন সাইবার বা ডিজিটাল হামলা প্রতিরোধের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে এ টিম। এ ছাড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকারের অনুমোদন গ্রহণক্রমে, সমধর্মী দেশি/বিদেশি কোনো টিম বা প্রতিষ্ঠানের সাথে তথ্য আদান-প্রদানসহ সার্বিক সহযোগিতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ এবং এ সংক্রান্ত বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য কাজ।

প্রসঙ্গত, গত ৬ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চে বাংলাদেশের সরকারি একটি ওয়েবসাইট থেকে লাখ লাখ নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার খবর প্রথম প্রকাশিত হয়। এরপর নির্বাচন কমিশনের সংরক্ষিত জাতীয় তথ্যভাণ্ডারের অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিতে তৎপর হয় ইসি।