মতিউর রহমান ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব স্থগিত
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী-সন্তানদের ব্যাংক হিসাব আগামী ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। ছাগলকাণ্ডে অর্থপাচারের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এই নির্দেশ দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুদকের নির্দেশনার পর আর্থিক খাতের এ গোয়েন্দা সংস্থাটি তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন ঘিরে বিমানবন্দরে নজিরবিহীন নিরাপত্তা
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুদকের নির্দেশনার পর আর্থিক খাতের এ গোয়েন্দা সংস্থাটি কাজ করছে।
বিএফআইইউয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, মতিউর রহমান, তার প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ, দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিবলী, দ্বিতীয় স্ত্রীর মেয়ে ইফতিমা রহমান মাধুরী, দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত, প্রথম স্ত্রীর মেয়ে ফারজানা রহমান (ইপসিতা), প্রথম স্ত্রীর ছেলে আহাম্মেদ তৌফিকুর রহমান এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে ইরফানুর রহমান ইরফানের মোট আটটি ব্যাংক হিসাব স্থগিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরলেন তারেক রহমান, সিলেটে যাত্রাবিরতি
তিনি জানান, আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে এসব ব্যাংক হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি, লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি তথ্যাদি সরবরাহের জন্য নির্দেশ দেয় বিএফআইইউ। আর্থিক খাতের গোয়েন্দা সংস্থাটির পাঠানো এ সংক্রান্ত চিঠি বাংলাদেশে কার্যত সব শেয়ারবাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের শীর্ষ কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে।
এদিকে মতিউর, তার প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ ও ছেলে আহমদ তৌফিকুর রহমানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন সোমবার এ আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, কোরবানির জন্য রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাদিক অ্যাগ্রো থেকে মতিউর রহমানের পুত্র মুশফিকুর রহমান ইফাতের ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কেনার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন খামার থেকে ৭০ লাখ টাকার গরু কেনার খবর প্রকাশিত হয়।
এরপর থেকে মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাংলোবাড়ি, জমিসহ নামে-বেনামে অঢেল সম্পত্তি থাকার তথ্য বেরিয়ে আসতে থাকে। পুঁজিবাজারেও রয়েছে তার মোটা অংকের বিনিয়োগ।
ছাগলকাণ্ডের পর মতিউর রহমানকে কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকেও তাকে অপসারণ করা হয়।





