‘আঠারোর নির্বাচনের এসপিদেরও বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হবে’

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৪৪ অপরাহ্ন, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | আপডেট: ৪:২০ পূর্বাহ্ন, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবিঃ সংগৃহীত
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবিঃ সংগৃহীত

আওয়ামী লীগে সরকারের অধীনে হওয়া ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ৬৪ জেলার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সুপারদেরও (এসপি) ওএসডি করা হবে এবং বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। 

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানান তিনি।

আরও পড়ুন: ‘গোয়েন্দা টিম গঠন করেন, লোক সাপ্লাই দেব’ ওসিকে জামায়াতের প্রার্থীর মন্তব্যে বিতর্ক

সেখানে আসিফ মাহমুদ লিখেন, ২০১৮ সালের রাতের ভোটের নির্বাচনে ৬৪ জেলার দায়িত্বে থাকা এসপিদেরও ওএসডি বা বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হবে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত বিতর্কিত ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) হিসেবে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। ওই সময়ে ডিসির দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তারা এখন যুগ্ম-সচিব অতিরিক্ত সচিব, সচিব পদে রয়েছেন।

আরও পড়ুন: লাভেলো আইসক্রিমের এমডি-চেয়ারম্যানসহ চারজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ওই তিনটি নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ৪৩ জন সাবেক ডিসিকে গত বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ওএসডি করা হয়েছে। পরদিন বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয় ২২ জন সাবেক ডিসিকে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান এ ব্যাপারে জানান, ওই তিনটি নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা সকল ডিসিকে পর্যায়ক্রমে ওএসডি কিংবা বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হবে।

যাদের চাকরির বয়স ২৫ বছরের কম তাদের ওএসডি এবং যাদের চাকরির বয়স ২৫ বছরের বেশি তাদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন জনপ্রশাসন সচিব।

এবার এসপিদের বিরুদ্ধেও একই ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা এলো বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার পক্ষ থেকে।