বিডিআর বিদ্রোহে নিহতদের স্মরণে ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকাসহ সারাদেশে বিএনপির দোয়া মাহফিল

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৫:২০ অপরাহ্ন, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | আপডেট: ৪:১৩ অপরাহ্ন, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে বিডিআর বিদ্রোহে নিহতদের স্মরণে ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকাসহ সারাদেশে দোয়া মাহফিল করবে বিএনপি।

সোমবার বিকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী একদিনের এই কর্মসূচি করেন।

আরও পড়ুন: সরকারি কর্মচারীদের বেতন সমন্বয়ে জাতীয় বেতন কমিশনের প্রথম সভা আজ

তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর ২৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি অত্যন্ত বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করে এই দিনটি। এবার ২৫ ফেব্রুয়ারি সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় শহিদ সেনা দিবস পালন করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। জাতীয়ভাবে এই দিবসটি পালনে সরকারের ঘোষণার প্রতি বিএনপি সমর্থন জানাচ্ছে। এতো দিন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা তাদের কৃত অপকর্ম ঢেকে রাখার জন্য এই দিবসটিকে আড়াল করে রাখার চেষ্টা করেছে।’

‘এই দিবসটি উপলক্ষে বিএনপির ঢাকায় যেমন কর্মসূচি রয়েছে…সকালে বনানী সেনা কবরস্থানে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং সেখানে দোয়া অনুষ্ঠান হবে এবং একই সঙ্গে সারাদেশে জেলা-মহানগরে বিএনপির উদ্যোগে দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।’

আরও পড়ুন: সেনাবাহিনী প্রধানের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই: আইএসপিআর

আলোচনা সভাটি হবে বিকাল সাড়ে তিনটায় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ ঘটনায় সেনাবাহিনীর ৫৭ জন চৌকস সেনা কর্মকর্তা নিহত হন।

রিজভী বলেন, ‘বিডিআর বিদ্রোহ ঘটনার সেনা তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি, ওই সময়ের রিপোর্টে স্পষ্টভাবে জানা গেছে যে, ওই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পেছনে তৎকালীন যারা ক্ষমতাসীন এবং তাদের আন্তর্জাতিক প্রভুরা এর মধ্যে সম্পৃক্ত থাকতে পারে। এই কারণে বহু আলামত নষ্ট করে ফেলা হয়েছি… জনগণের কাছে প্রকৃত কি অবস্থা হয়েছে সেটা জানানো হয়নি।’

‘কালো গ্লাস ঢাকা মাইক্রোবাস ওই সময় যেতে পারলো… আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ভেতরে(পিলখানায়) ঢুকে কথা বলছেন, আলোচনা করছেন, তাদের কিছু হচ্ছে না। কিন্তু ভেতরে যে নৃশংসতা যারা সংঘটিত করেছে তাদের যারা মাস্টার মাইন্ড তাদের সাথে প্রধানমন্ত্রী কথা বলছেন, তাদের সাথে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ কথা বলছেন। সব কিছু মিলিয়েই বাংলাদেশকে পঙ্গু করার, বাংলাদেশে যে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে উঠার যে ধারা তৈরি হয়েছিলো শহিদ জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে আধুনিক যে সেনা বাহিনী গঠনের প্রচেষ্টা চলেছিল…. তার আগে ৭২-৭৫ এর সেনাবাহিনীর একটা কাউন্টার ফোর্স হিসেবে রক্ষী বাহিনীকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের রক্ষক হিসেবে তৈরি করা হয়েছে সেই জায়গায় থেকে নানা ষড়যন্ত্র চক্রান্তের পরে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি এই হত্যাকাণ্ড ঘটনা ঘটানো হয়েছিলো।এটা ছিলো দেশী এবং বিদেশি মাস্টার প্ল্যানড।’

২৫ ফেব্রুয়ারি ঘটনায় চৌকস সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারবর্গের প্রতি দলের পক্ষ থেকে সমবেদনাও জানান রিজভী।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কেন্দ্রীয় নেতা শিরিন সুলতানা, হেলেন জেরিন খান, মুনির হোসেন, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।