টার্গেট ঈদ বাজার

২০ লক্ষ দিক জাল টাকা ও সরঞ্জামসহ ৩ জন গ্রেফতার

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২৫ অপরাহ্ন, ১৫ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ৯:২০ অপরাহ্ন, ১২ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর ও নারায়ণগঞ্জ জেলায় সাঁড়াশি  অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ জাল নোট ও জাল নোট তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধারসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো-১। সুমন (৩৮), ২। সুলতানা (২৮) ও ৩। হানিফ গাজী (৪৮)। গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থেকে ২০ লক্ষ টাকার জাল নোট, আংশিক প্রিন্ট করা ১০০০ টাকা মূল্যমানের ৯ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকার জাল নোট ও জাল নোট তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর ও নারায়ণগঞ্জে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

কামরাঙ্গীরচর থানা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর আনুমানিক ১:১৫ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য পাওয়া যায় সাইনবোর্ড এলাকা হতে কতিপয় জাল টাকার ব্যবসায়ী বেড়িবাঁধ রাস্তা দিয়ে জাল টাকাসহ মাদবর বাজার ঘাটের দিকে যাচ্ছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে মাদবর বাজারের বুড়িগঙ্গা গণপাঠাগার সমাজকল্যাণ সংস্থার সামনে বেড়িবাঁধে চেকপোস্ট পরিচালনা করে কামরাঙ্গীরচর থানার একটি টিম। এরপর দুপুর ১:৩০ ঘটিকার দিকে একটি অটোরিকশাযোগে জাল টাকার ব্যবসায়ীরা উক্ত স্থানে পোঁছলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টাকালে সুমন, সুলতানা ও হানিফ গাজীকে গ্রেফতার করা হয়। অতঃপর তাদের দেহ তল্লাশি করে ১০০০ ও ৫০০ টাকা মূল্যমানের মোট চার লক্ষ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুন: বিএনপি নেতৃবৃন্দের শোক, মালয়েশিয়া বিএনপির সভাপতি বাদলুর রহমানের মায়ের ইন্তেকাল

কামরাঙ্গীরচর থানা সূত্রে আরো জানা যায়, গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ ২০২৫ খ্রি.) বিকেল আনুমানিক ৫:৪৫ ঘটিকায় অপর এক অভিযানে নারায়ণগেঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন কদমতলীর গ্যাস লাইন নামক এলাকায় গ্রেফতারকৃত সুমনের ভাড়া বাসা থেকে ১০০০ ও ৫০০ টাকা মূল্যমানের ১৬ লক্ষ টাকার জাল নোট, এক পাশে প্রিন্ট করা ১০০০ টাকা মূল্যমানের ৯ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকার জাল নোট (আংশিক প্রিন্ট করা), একটি সিপিইউ, একটি মনিটর, একটি কালার প্রিন্টার, জাল নোট তৈরির ১০টি ডাইস, তিনটি আঁঠার কৌঁটা, জাল নোট তৈরিতে ব্যবহৃত দুটি ফয়েল পেপার রোল, কালার প্রিন্টারের পাঁচটি কালির কৌঁটা, একটি রাবার কাটার, কাগজ ছিদ্র করার দুটি ভাইস ও জাল নোট তৈরির কাজে ব্যবহৃত এক বস্তা সাদা কাগজ উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরণের জাল নোট তৈরি করে রাজধানীসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রয় করতো। তারা আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে বিপুল পরিমাণ জাল নোট তৈরি করে সেগুলো সরবরাহ করার জন্য তাদের হেফাজতে রেখেছিলো মর্মে স্বীকার করেছে।  

আরও পড়ুন: মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক

এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত তিনজনের বিরুদ্ধে কামরাঙ্গীরচর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে জাল নোট তৈরি ও বিক্রয় করার অপরাধে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের গতকাল বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করলে আদালত প্রত্যেকের দুই দিন করে পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।