তরুণদের রাজনীতিতে আরও বেশি অংশগ্রহণের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:৪১ অপরাহ্ন, ০৬ মে ২০২৫ | আপডেট: ১:৩২ অপরাহ্ন, ১৪ মে ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

নিজ নিজ সমাজে অর্থবহ পরিবর্তন আনতে এবং স্বপ্ন বাস্তবায়নে তরুণদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে আরও বেশি অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (৬ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নরওয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরুণ নেতাকর্মীদের একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার মালয়েশিয়া সফর কাল, সই হবে ৫টি সমঝোতা স্মারক

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা তরুণদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করছি, যাতে তারা তাদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তরিত করতে পারেন এবং সমাজে অর্থবহ পরিবর্তন আনতে পারেন।’

নরওয়েজিয়ান প্রতিনিধিদলে ছিলেন সোশালিস্ট ইউথ লিগের উপনেতা নাজমা আহমেদ, এইউএফএর আন্তর্জাতিক নেতা ও কেন্দ্রীয় বোর্ড সদস্য ফাউজি ওয়ারসামে, সেন্টার পার্টির সদস্য ডেন স্কফটারুড, কনজারভেটিভ পার্টির সদস্য ওলা স্ভেনেবি; খ্রিস্টান ডেমোক্র্যাটসের সদস্য হ্যাডলে রাসমুস বিজুল্যান্ড, গ্রিন পার্টি-সংযুক্ত গ্রিন ইয়ুথের সদস্য টোবিয়াস স্টকেল্যান্ড এবং ইনল্যান্ডেট অঞ্চলের ইয়াং লিবারেলসের সাবেক নেতা থাইরা হাকনসলকেন।

আরও পড়ুন: বাধ্যতামূলক অবসরে ডিএমপির সাবেক ৯ ওসি

প্রধান উপদেষ্টা তাদের রাজনৈতিক পটভূমি, দৃষ্টিভঙ্গি এবং কর্মকাণ্ড সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। তিনি নরওয়ের মূলধারার রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণের হার সম্পর্কেও জানতে চান।

নরওয়ের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বাংলাদেশে তরুণদের সঙ্গে সাক্ষাতের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ‘অনেক বাংলাদেশি তরুণই তাদের জীবনে একবারও ভোট দিতে পারেননি।’

এ সময় তারা প্রধান উপদেষ্টার কাছে জানতে চান, তরুণদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে।

জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘নতুন সরকারের প্রধান অঙ্গীকারই হলো প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার। গত ১৫ বছর ধরে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। টানা তিন মেয়াদে একটি ভুয়া ভোটব্যবস্থা চালু ছিল। কর্তৃপক্ষ একে বিশাল সাফল্য বললেও বাস্তবে কেউই ভোট দিতে পারেনি।

তরুণদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার অত্যাবশ্যক।’

দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে ‘পুরাতন’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো আগের রেখে যাওয়া জঞ্জাল পরিষ্কার করা।’

তিনি আরো বলেন, ‘ধ্বংসস্তূপ থেকে টুকরাগুলো তুলে নিয়ে নতুন সূচনার জন্য একটি নতুন কাঠামো তৈরি করাই এখন মূল চ্যালেঞ্জ।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি রূপান্তরকাল। আমি শুধু আশা করি, এই রূপান্তর খুব দ্রুত শেষ হবে।