চিহ্নিত অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের ধরতে দ্রুতই চিরুনি অভিযান চালানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৫:১৫ অপরাহ্ন, ১৩ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ৩:২৭ অপরাহ্ন, ১৩ জুলাই ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

চিহ্নিত অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে শিগগিরই বিশেষ বা চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।

শনিবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ১১তম সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।

আরও পড়ুন: ইসির প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে উত্তীর্ণ এনসিপিসহ ১৬ দল

তিনি বলেন, “খুন, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক চোরাচালান, নারী নির্যাতনসহ সব ধরনের অপরাধ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। তবে চিহ্নিত অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে সরকার খুব দ্রুত বিশেষ অভিযান শুরু করবে।” এ সময় তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জনসাধারণের সহযোগিতা কামনা করেন।

উপদেষ্টা জানান, মিটফোর্ডের নৃশংস হত্যাকাণ্ড সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। “এই হত্যাকাণ্ডসহ সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত সব হত্যার বিচার ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর,” বলেন তিনি।

আরও পড়ুন: পলাতক ৪০ পুলিশ কর্মকর্তার পদক প্রত্যাহার

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডের এফআইআরে নাম উল্লেখ করা ১৯ আসামির মধ্যে এখন পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “ঘটনার পরপরই সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্রসহ দু’জনকে গ্রেফতার করে। এরপর শুক্রবার ও শনিবার আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ছয়জনকে ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “বাকি আসামিদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা দল ঢাকার বাইরে অভিযান পরিচালনা করছে। তদন্তে নতুন কেউ জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।”

সরকার এই মামলার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নেওয়ার পদক্ষেপ নিচ্ছে বলেও তিনি জানান। পাশাপাশি খুলনার একটি হত্যাকাণ্ডেও ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জোর দিয়ে বলেন, “সরকার বিশ্বাস করে, অপরাধী অপরাধীই—সে যে দলেরই হোক না কেন। কাউকেই ছাড় দেওয়া হচ্ছে না এবং ভবিষ্যতেও দেওয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো অপরাধীকেই প্রশ্রয় দেবে না।”

সভায় সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, চুরি-ছিনতাই, চাঁদাবাজি, সাইবার অপরাধ, মাদক চোরাচালান, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ, জঙ্গিবাদ নির্মূল, শিল্প-কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান, সীমান্ত ও পার্বত্যাঞ্চলের পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

সভায় আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।