মাইলস্টোন স্কুলে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় বিমান বাহিনীর বিভিন্ন কার্যক্রম

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৫:৫০ অপরাহ্ন, ২৫ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১২:৩৫ অপরাহ্ন, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী পরিচালিত সকল স্কুলসমূহে গত সোমবার (২১-৭-২০২৫) মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় হতাহতের জন্য বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী পরিচালিত শাহীন কলেজ (০৭টি), বিএএফ শাহীন হাজী আশরাফ আলী স্কুল এবং ব্লু স্কাই স্কুলে গত মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে হতাহতের জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। এ হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনায় যেসব কোমলমতি ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-কর্মচারী ও অভিভাবক প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়। এছাড়া এখনও যারা ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে দগ্ধ/আহত অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করছে, তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়।

আরও পড়ুন: জাতিসংঘে একাধিক বৈঠক করলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস, বিশ্বনেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়

এই আয়োজনে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয় সেই দুই মহান শিক্ষিকাকে, যাঁরা আগুনের মুখে দাঁড়িয়ে সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে নিজের জীবন উৎসর্গ করেন। শ্রদ্ধার সঙ্গে আরও স্মরণ করা হয় সেই সকল সাহসী শিক্ষার্থীকেও, যারা নিজেদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে বন্ধুদের উদ্ধারে এগিয়ে এসেছে। উল্লেখ্য, উক্ত বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে বিমান বাহিনী পরিচালিত সকল স্কুল-কলেজের অধ্যক্ষগণসহ শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে, মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে দগ্ধ/আহত এবং চিকিৎসাধীন সকল ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের চিকিৎসার তদারকি ও যাবতীয় সার্বিক সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ইতিমধ্যেই একটি ২৪ ঘণ্টা জরুরি সেবা সহায়তা প্রদান কেন্দ্র স্থাপন করেছে (রুম নং: ৮১১, যোগাযোগ নম্বর: ০১৭৬৯-৯৯৩৫৫৮)। ইতিমধ্যেই বিমান বাহিনীর দুজন সদস্য আহত শিক্ষার্থী ও অন্যান্য ব্যক্তিদের চিকিৎসা সহায়তায় রক্তদান করেছেন। একইভাবে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালেও (সিএমএইচ, ঢাকা) চিকিৎসাধীন রোগীদের চিকিৎসা তদারকি ও সার্বিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে (জরুরি নম্বর সিএমএইচ: ০১৮১৫-৯১২৬১৭)।

আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জন্য নতুন বাসভবন করা হচ্ছে শেরেবাংলা নগরে

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী বিশ্বাস করে, সকলে একত্রে ধৈর্য ধারণ করে নিয়োজিত দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করলে এই সংকটময় অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভবপর হবে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী সবসময়ই দেশের জনগণের পাশে আছে এবং ভবিষ্যতেও সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও দায়িত্ববোধ অব্যাহত রাখবে।