তিন দফা দাবিতে শহীদ মিনারে প্রাথমিক শিক্ষকদের মহাসমাবেশ
সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মহাসমাবেশ শুরু হয়েছে। শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল ১০টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে এ মহাসমাবেশের সূচনা হয়। এতে সারাদেশ থেকে আসা বিপুলসংখ্যক শিক্ষক অংশ নেন।
শিক্ষকদের তিন দফা দাবি হলো—
আরও পড়ুন: মজলুম থেকে জালিম হইয়েন না: আসিফ মাহমুদের আহ্বান
১. সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন-ভাতা প্রদান,
২. শতভাগ শিক্ষককে পদোন্নতি,
আরও পড়ুন: বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে প্রধান উপদেষ্টার দোয়া কামনা
৩. ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসন।
ছয়টি পৃথক সংগঠনের মোর্চা ‘সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’ এ মহাসমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
ঐক্য পরিষদের অন্যতম নেতা ও বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, আজকের মধ্যে স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি না পেলে সমাবেশ থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
তিন দফা দাবিতে এর আগে প্রাথমিক শিক্ষকরা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। চলতি বছরের মে মাসে তারা কয়েক দফা কর্মবিরতি ও আন্দোলন করেন। পরে সরকারের আশ্বাসে ক্লাসে ফিরে গেলেও দাবি পূরণ না হওয়ায় আবারও রাজপথে নেমেছেন তারা।
অন্যদিকে, চার দফা দাবিতে গত ১৮ জুলাই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে ‘বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি’। তারা ঘোষণা দিয়েছে, আগামী ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা টানা অনশন কর্মসূচি পালন করবেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে ৬৫ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় পৌনে ৪ লাখ শিক্ষক কর্মরত আছেন। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষকরা ১০ম গ্রেডে এবং সহকারী শিক্ষকরা বর্তমানে ১৩তম গ্রেডে বেতন পান।





