প্রাণিসম্পদকে রোগমুক্ত রাখতে ভ্যাকসিন কার্যক্রম বাড়ানো হবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৭:৪৩ অপরাহ্ন, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ২:৫১ পূর্বাহ্ন, ২৯ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, মানুষের জন্য নিরাপদ মাংস, ডিম এবং দুধ নিশ্চিত করতে প্রাণিসম্পদকে সুস্থ ও রোগমুক্ত রাখা অত্যন্ত জরুরি। এ লক্ষ্যে সরকার সব প্রাণীকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে ভ্যাকসিন উৎপাদন কার্যক্রম আরও সম্প্রসারণ করবে। তিনি আরও জানান, প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া জুনোটিক রোগের ঝুঁকি মোকাবিলায় ‘ওয়ান হেলথ’ ধারণার অধীনে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

উপদেষ্টা আজ রংপুর দিনাজপুর রুরাল সার্ভিসের (RDRS) বেগম রোকেয়া হলে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি)-এর Divisional Progress Review Workshop-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এলডিডিপি প্রকল্পের সফল কার্যক্রমগুলো গুরুত্বের সাথে এগিয়ে নিতে হবে। অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন হলে সরকারের সুনাম বৃদ্ধির পাশাপাশি কর্মকর্তাদের সক্ষমতাও বাড়বে।

আরও পড়ুন: সিও ক্লোজড, বাবুর্চি সুইপারসহ কক্সবাজার র‌্যাবে গণবদলি

ফরিদা আখতার নারীর ক্ষমতায়নের ওপর জোর দিয়ে বলেন, চরাঞ্চলের নারীদের জীবন ও সংস্কৃতি গরু-ছাগল পালনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই চরাঞ্চলের উন্নয়নে প্রাণিসম্পদ খাতে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, পুষ্টির মানোন্নয়ন এসডিজি’র একটি অন্যতম লক্ষ্য। দেশে বছরে প্রায় চার হাজার কোটি টাকার গুঁড়ো দুধ আমদানি করতে হয়, যা এলডিডিপি প্রকল্পের আওতায় চিলিং সেন্টার স্থাপন করে কমানো সম্ভব।

স্কুল ফিডিং কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্কুল মিল্ক ফিডিং কার্যক্রম ৩০০ থেকে বাড়িয়ে ৬০০ স্কুলে চালু করা হয়েছে। তিনি ডিমকেও এই কর্মসূচির আওতায় আনার পরামর্শ দেন, যা শিক্ষার্থীদের পুষ্টি উন্নয়নে সহায়ক হবে।

আরও পড়ুন: আমিরাতে বন্দি বাকি ২৪ বাংলাদেশি অচিরেই মুক্তি পাচ্ছেন

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের। তিনি বলেন, উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনে উৎসাহিত করার পাশাপাশি তাদের তৈরি উপকরণ অন্যান্য খামারিদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। প্রশিক্ষিত খামারিদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নতুন উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার কথাও তিনি বলেন।

এছাড়াও, তিনি রংপুর বিভাগে উৎপাদিত অতিরিক্ত দুধ প্রক্রিয়াজাত করে সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার ওপর জোর দেন এবং পিজির সদস্যদের সঞ্চিত অর্থ উৎপাদনশীল কাজে ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

কর্মশালায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, রংপুর বিভাগের জেলা-উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং পিজি খামারিরা অংশগ্রহণ করেন।