উড্ডয়নের সময় ত্রুটি, হঠাৎ অন্য বিমানে যাত্রীরা
গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কাতারের দোহা রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-৩২৫ ফ্লাইটে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রহস্যজনক কারণে যাত্রীদের একই সিরিজের অন্য উড়োজাহাজ বিজি-৩৩৭ ফ্লাইটে উঠানো হয়। উড্ডয়নের ১৫ মিনিট পর যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানটি ফিরে আসে। এতে ২৭৮ যাত্রী সাড়ে ৩ ঘণ্টার বেশি সময় ভোগান্তির মুখে পড়েন।
বিমানবন্দরের সূত্র জানায়, ফ্লাইটের প্রকৌশল ও অপারেশন বিভাগ একে অপরকে দোষারোপ করছে। উড়োজাহাজ বদলের নির্দেশ কে দিয়েছে বা কেন করা হয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। বিমান কর্মকর্তাদের মধ্যে কেউ দায় নিতে চাইছেন না। বিমানবন্দরের মুখপাত্রও ঘটনার বিষয়ে সঠিক তথ্য জানাতে পারেননি।
আরও পড়ুন: জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সাবেক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) মফিদুর রহমান বলেন, এক বিমানের বদলে অন্য কোনো বিমানে যাত্রী তোলা একেবারেই নিয়মবিরোধী। এতে ভিকটিমের সংখ্যা আড়াইশের বেশি হওয়া অত্যন্ত দায়িত্বহীনতা। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি অপরিহার্য।
যাত্রীদের অভিযোগ, এ ঘটনায় সবার বোর্ডিং, চেক-ইন ও নিরাপত্তা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও অপ্রত্যাশিতভাবে ফ্লাইট বদল করা হয়েছে। এতে তারা উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা এবং দীর্ঘ অপেক্ষার শিকার হন।
আরও পড়ুন: এবার দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে ‘হত্যার’ হুমকি
বিমানবন্দর সূত্র বলছে, আন্তর্জাতিক স্বর্ণ ও চোরাকারবারি চক্রের সঙ্গে যোগসাজশ করে এ ধরনের অনিয়মের নজির বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আছে। তাই, শুক্রবারের ঘটনায়ও অনিয়মের প্রভাব বা সম্ভাব্য তৎপরতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।





