কাঠগড়ায় খোশ গল্পে ছাগল কান্ডের দুই নায়ক মতিউর ও ইমরান

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:৪৬ অপরাহ্ন, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৮:৪৬ অপরাহ্ন, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বহুল আলোচিত ‘ছাগলকাণ্ডের’ ঘটনায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমান এবং সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন আদালতের কাঠগড়ায় খোশগল্পে মেতে ওঠেছেন।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে দুটি মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। একটি মামলায় মতিউর রহমানের জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়, আর অপর মামলায় ইমরান হোসেনকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদনের ওপর শুনানি হয়।

আরও পড়ুন: সংসদ নির্বাচনে মাঠে থাকবে ১ লাখ সেনা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সকাল ১০টার দিকে দুজনকেই কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। বেলা ১২টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যেই তারা এজলাসে তোলা হয়। প্রথমে মতিউর রহমানকে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। এরপর কাঠগড়ায় বসে তারা প্রায় ১০ মিনিট ধরে বিভিন্ন বিষয়ে খোশগল্প করে হাসিমুখে সময় কাটান।

শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ মতিউর রহমানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ইমরান হোসেনকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করা হয়। মতিউরের পক্ষে জামিন শুনানি করেন আইনজীবী ওয়াহিদুজ্জামান (লিটন ঢালী)।

আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার কয়েকটি দুর্নীতি মামলার রায় হতে পারে নভেম্বরেই: দুদক চেয়ারম্যান

মামলার বিবরণী অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মতিউরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, মতিউর ১ কোটি ২৭ লাখ ৬৬ হাজার ২১৬ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেন এবং ৫ কোটি ২৮ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩৯ টাকার সম্পদ অর্জনে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতি সৃষ্টি করেছেন। মামলা দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় দায়ের করা হয়েছে।

অপরদিকে, সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি অবৈধ প্রক্রিয়ায় কর্তৃপক্ষের ভুয়া অনুমোদনপত্র তৈরি করে প্রজননের অনুপযোগী ও আমদানি নিষিদ্ধ ব্রাহামা জাতের ১৫টি গরু আমদানি করেছেন। সরকারি বিধি অনুযায়ী এসব গরু সুলভ মূল্যে বাজারে বিক্রি করার কথা থাকলেও, তিনি নিলাম কমিটির মাধ্যমে নিলাম ছাড়াই রেকর্ডে জবাই দেখান। বাস্তবে গরুগুলো জবাই না করা এবং এর ফলে দণ্ডবিধি ও দুর্নীতি দমন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ সংঘটিত হয়।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ জানুয়ারি গোয়েন্দা পুলিশ মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকীকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করে। অন্যদিকে, গত ৩ মার্চ ইমরান হোসেনকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) গ্রেফতার করে।