পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানালেন ভারতের সঙ্গে শুধুমাত্র একটি চুক্তি বাতিল হয়েছে

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:১২ অপরাহ্ন, ২১ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১১:০৭ অপরাহ্ন, ২১ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের সঙ্গে মাত্র একটি চুক্তি বাতিল করেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। এছাড়া আদানির সঙ্গে জ্বালানি চুক্তির বিষয়টি পুনর্বিবেচনার মধ্যে রয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা জানান, ভারতীয় প্রতিরক্ষা কোম্পানি জিআরএসই-র সঙ্গে ট্যাগ বোট চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। তিনি বলেন, “এটি বাংলাদেশের জন্য খুব একটা লাভজনক প্রকল্প ছিল না। তাই বাতিল করা হয়েছে।”

আরও পড়ুন: প্রশাসনে রদবদল নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ভারতের সঙ্গে অন্যান্য চুক্তি বাতিলের খবরের মধ্যে অনেকটাই বাস্তবে নেই। “যে তালিকাটি আমাদের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন, সেটি সঠিক নয়। অধিকাংশ চুক্তি বাস্তবে নেই। কিছু পুরোনো বা পুনর্বিবেচনার পর্যায়ে আছে।”

উপদেষ্টা বিস্তারিতভাবে জানান, ত্রিপুরা-চট্টগ্রাম রেল সংযোগ প্রকল্প, অভয়পুর-আখাউড়া রেলপথ সম্প্রসারণ, আশুগঞ্জ–আগরতলা করিডর প্রকল্প, ফেনী নদী পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প, কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন প্রকল্প, সিলেট-শিলচর সংযোগ প্রকল্প—এই নামের প্রকল্পগুলোর মধ্যে অনেক কিছু বাস্তবে নেই বা স্থগিত হয়নি।

আরও পড়ুন: সিভিল এভিয়েশন একাডেমিতে ‘এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি ম্যানেজারস কোর্স’ সমাপ্ত

বন্দরের ব্যবহার সংক্রান্ত চুক্তি এবং মঙ্গলা বন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি বাতিল হয়নি।

ফারাক্কা বাঁধ সংক্রান্ত আর্থিক সহযোগিতা, পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন সম্প্রসারণ চুক্তি এবং ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল সম্পর্কিত প্রকল্পও বাতিল হয়নি; এগুলো পুনর্বিবেচনার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, আদানির বিদ্যুৎ চুক্তি পুনর্বিবেচনার পর্যায়ে রয়েছে। গঙ্গা পানি বণ্টন চুক্তি আগামী বছর মেয়াদ শেষ হলে নবায়নের জন্য আলোচনা চলবে। এছাড়া তিস্তা চুক্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে, তবে দ্রুত অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।

এর আগে, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ফেসবুকে একটি পোস্টে দাবি করেছিলেন, ভারতের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের ১০টি চুক্তি বাতিল হয়েছে এবং বাকি চুক্তিগুলোও পুনর্বিবেচনার মধ্যে আছে।