শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যায় পিস্তলসহ দুই শুটার গ্রেফতার

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:৪১ পূর্বাহ্ন, ১২ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৮:৪১ পূর্বাহ্ন, ১২ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর পুরান ঢাকায় চাঞ্চল্যকর সন্ত্রাসী মামুন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকা অস্ত্রসহ দুই সন্ত্রাসীকে আটক করেছে পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় 

রাজধানীর সূত্রাপুরে চাঞ্চল্যকর মামুন হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত দুইটি পিস্তল উদ্ধার এবং দুই শ্যুটারসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত রোববার প্রকাশ্যে দিনের বেলায় ন্যাশনাল হাসপাতালের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে।

আরও পড়ুন: তফসিলের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ইসির সংলাপ কাল থেকে

গ্রেপ্তার হওয়া দুই শুটারের নাম রুবেল ও ইব্রাহিম। তারা পেশাদার ভাড়াটে শুটার হিসেবে কাজ করতেন বলে জানায় পুলিশ। ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগে সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দিবাগত রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। তিনি জানান, সূত্রাপুরে মামুন হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি পিস্তল উদ্ধার এবং দুই শুটারসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।

আরও পড়ুন: লকডাউন কর্মসূচি ঘিরে ঢাকায় ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

গত ১০ নভেম্বর সকাল ১১টার দিকে পুরান ঢাকার সূত্রাপুরে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফটকের সামনে মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। আদালতে হাজিরা শেষে ফেরার পথে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সকাল ১০টা ৫৩ মিনিটে মামুন দৌড়ে হাসপাতালের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। পেছন থেকে দুজন অস্ত্রধারী তাকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি ছোড়ে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই হত্যাকাণ্ডটি শেষ করে তারা দ্রুত পালিয়ে যায়।

আহত অবস্থায় মামুনকে ন্যাশনাল মেডিক্যালে নেওয়া হয়, পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত তারিক সাইফ মামুন রাজধানীর তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের একজন। তিনি ‘ইমন-মামুন গ্রুপের’ অন্যতম প্রধান ছিলেন এবং একসময় কুখ্যাত সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের সহযোগী ছিলেন। অপরাধজগতের আধিপত্য ও নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে মামুন ও ইমনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।

পুলিশের ধারণা, এই দ্বন্দ্বের সূত্র ধরে মামুনকে হত্যা করা হয়। এছাড়া আলোচনায় উঠে এসেছে আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী জোসেফের নাম—১৯৯৭ সালে তার ভাই টিপু হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি ছিলেন মামুন, এবং সেই ক্ষোভ থেকেই টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হতে পারেন তিনি।