৩ কোটি ডলার পরিশোধ
আদানির ১০ কোটি ডলার চলতি মাসে শোধ করবে পিডিবি
ভারতের আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ কেনার বকেয়া অর্থ নিয়মিত পরিশোধ করছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি নভেম্বর মাসে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) মোট ১০ কোটি মার্কিন ডলার পরিশোধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর মধ্যে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ৩ কোটি ডলার আদানির হিসাবে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ ও পিডিবি সূত্র।
বিদ্যুৎ বিভাগের এক যুগ্ম সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে আদানিকে তিন কোটি ডলার বিল পরিশোধ করা হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যেই আরও ৭ কোটি ডলার দেওয়া হতে পারে।”
আরও পড়ুন: তফসিলের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ইসির সংলাপ কাল থেকে
পিডিবি সূত্রে জানা যায়, কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে বিল পরিশোধের প্রক্রিয়া সোমবার চূড়ান্ত হয়। মঙ্গলবার ব্যাংক আদানির হিসাবে অর্থ স্থানান্তর করেছে। এর আগে আদানি ১০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে চিঠি পাঠায়, অন্যথায় ১১ নভেম্বর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের হুমকি দেয়। তবে সময়মতো আংশিক অর্থ পরিশোধের পর বর্তমানে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঝাড়খণ্ডের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১২১৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশের গ্রিডে যুক্ত হয়।
ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের ১,৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশ ২০১৭ সালের চুক্তি অনুযায়ী ২৫ বছর বিদ্যুৎ কিনবে। তবে বিল পরিশোধ ও কয়লার দাম নির্ধারণ নিয়ে পিডিবি ও আদানির মধ্যে বিরোধ চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন: লকডাউন কর্মসূচি ঘিরে ঢাকায় ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
আদানির জনসংযোগ প্রতিষ্ঠান মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানায়, বিলম্ব সুদসহ আমাদের মোট পাওনা ৩৫ কোটি ডলার, যা নিয়ে কোনো বিরোধ নেই। তবে বকেয়া বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বজায় রাখতে সমস্যা হচ্ছে।
পিডিবির দাবি, আদানি কয়লার বাজারদামের চেয়ে বেশি মূল্যে বিল করছে, তাই তারা ন্যায্য বাজারমূল্য অনুযায়ী বিল পরিশোধ করছে। আদানি এই বিরোধ নিষ্পত্তিতে পেশাদার মধ্যস্থতাকারী নিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছিল, তবে পিডিবি এতে রাজি হয়নি।
পিডিবি জানিয়েছে, আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয়চুক্তি নিয়ে উচ্চ আদালতে রিট মামলা চলমান, আদালতের রায় অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে গত বছর বকেয়া না পাওয়ায় আদানি একবার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করেছিল, পরে পিডিবি বকেয়া শোধ করলে সরবরাহ পুনরায় শুরু হয়। এ বছর আবারও কয়েক মাসের ব্যবধানে বকেয়া জমে গেছে।





