অবিচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে দাবি আদায়ের দিন মে দিবস- রওশন এরশাদ

বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব শ্রমজীবী মানুষকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ এমপি।
তিনি বলেছেন, বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের ঐতিহাসিক গৌরবময় দিন পহেলা মে। বঞ্চনা, নির্যাতন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের সংগ্রাম ও অধিকার আদায়ের রক্তাক্ত দিন।
আরও পড়ুন: পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে একক দলের মাতবরি থাকবে না: নুর
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মে দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এই কথা বলেন।
রওশন এরশাদ বলেন, ইতিহাসের পাতায় মে দিবস উজ্জ্বল হয়ে থাকলেও শ্রমিকের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি। অবিচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে দাবি আদায়ের লড়াইয়ের দিন। এটি ঐক্যের দিনও- সব শ্রমজীবী মানুষ তাদের ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করার মাধ্যমে উন্নয়নমুখী কাজের জয়যাত্রাকে এগিয়ে নেওয়ার শপথ ঘোষণার দিন পহেলা মে।
আরও পড়ুন: শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে
তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে বিজয়ের এক দিবস হিসেবে দিনটি উদযাপিত হয়। আমাদের দেশেও কখনো আন্দোলন, কখনো উৎসবের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়। কিন্তু মে দিবস চলে যাওয়ার পরই শ্রমিকরা তাদের পূর্বতন অবস্থায় চলে যায়, বছর যায় বছর ঘুরে, দিবসটি উদযাপিত হয় কিন্তু শ্রমিকরা থেকে যায় তাদের প্রবঞ্চনাময় অতীতের ইতিহাসে।
বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, মে দিবসের পথ ধরেই শ্রমিকদের নানা অধিকার অর্জিত হয়েছে। সেই সঙ্গে নিজেদের ও তাদের শ্রমের মর্যাদা পেয়েছে গুরুত্ব। বিশ্বব্যাপী ট্রেড ইউনিয়নগুলো শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তবে অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলোর শ্রমিক শ্রেণির দুর্দশা ঘোচেনি। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। শ্রমিক শ্রেণির অধিকার সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত হলেও তা মানা হচ্ছে না।
বিরোধীদলীয় নেতা আরও বলেন, মে দিবসে শ্রমিক শ্রেণির মানবেতর জীবনের অবসান ঘটানোর অঙ্গীকার এবং শ্রমের মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে। পহেলা মে থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে ভবিষ্যতে সব ন্যায্য দাবি আদায়ের মাধ্যমে শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষ তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে এমনই প্রত্যাশা করেন বিরোধীদলীয় নেতা।