নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ হচ্ছে জামায়াত: আইনমন্ত্রী

Abid Rayhan Jaki
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩:১২ অপরাহ্ন, ৩০ জুলাই ২০২৪ | আপডেট: ১০:১১ পূর্বাহ্ন, ৩০ জুলাই ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে আগামীকালের মধ্যে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনৈতিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করা হবে। তবে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আগে আইনি দিক খতিয়ে দেখার জন্য বিকালে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে নির্বাচন কমিশন আদালতের রায়ের ভিত্তিতে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে। এরপর হাইকোর্টে আপিল করা হলেও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ২০২৩ সালের নভেম্বরে জামায়াতের পক্ষের আপিল খারিজ করে দিয়েছিল। অর্থাৎ, আইনি প্রক্রিয়ায় জামায়াতের রাজনৈতিক কার্যকলাপ ইতোমধ্যেই নিষিদ্ধ।

আরও পড়ুন: যারা ধর্ম ও মুক্তিযুদ্ধকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে তাদের কাছে দেশ নিরাপদ নয় : সালাম আজাদ

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতা এড়াতে দেশে কারফিউ জারি এবং সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ১৯ জুলাই রাতে শেখ হাসিনার সঙ্গে ১৪ দলের বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর ১০ দিনের মাথায় গতকাল আবারও জোটের জরুরি বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানেই জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেন জোটের নেতারা।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বলেন, সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ১৪ দলীয় জোটের চেয়ারপারসন, সেখানে শরিক দলগুলোর বক্তব্য, তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষণ, দলটির অতীত ও বর্তমান কর্মকাণ্ড, বিভিন্ন সময় দেওয়া আদালতের রায় ইত্যাদি বিবেচনায় জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধে ১৪ দল সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে সরকার। আর বাস্তবায়নের পদ্ধতি কি হবে তার আইনগত দিক দেখে শুনে  শিগগিরই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে সরকার। কারণ আমরা আইনগত দিকগুলো ভালোভাবে দেখে নিতে চাই। যাতে কোনো ফাঁক-ফোকর দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে এ অপশক্তি আর কোনো সুযোগ না পায়।

আরও পড়ুন: রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি থেকে সাংবাদিকদের বেরিয়ে আসার আহ্বান মির্জা ফখরুলের

তিনি আরও বলেন, দলীয়ভাবে ঢাকা মহানগরসহ সব মহানগর, সব জেলা, সদর, সব উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যন্ত আমাদের নেতাকর্মীদের বিরাজমান পরিস্থিতিতে কারফিউ মেনে চলার কথা জানানো হচ্ছে। দলীয়ভাবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। এটা আমাদের সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশ। গুজব ও আতঙ্ক সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে। গুজব সৃষ্টিকারীদের তথ্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানাতে হবে।