পরিবারের সিদ্ধান্তে হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতি

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:৪৮ অপরাহ্ন, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৫:০৬ পূর্বাহ্ন, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবার বিদেশে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তবে বর্তমান শারীরিক অবস্থায় তিনি বিদেশযাত্রার জন্য কতটা উপযুক্ত তা এখনও চূড়ান্ত নয়। মেডিকেল বোর্ডের অনুমোদন মেলেনি। থাইল্যান্ড বা সিঙ্গাপুর—এই দুই দেশের মধ্যে যেকোনো একটিতে নেওয়ার বিষয়টি আলোচনার মধ্যে রয়েছে, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রাতের মধ্যে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা।

আরও পড়ুন: হাদির ওপর হামলা: ‘ভারতের স্বার্থরক্ষাকারী’ আখ্যায়িত করে শ্যুটারের প্রশংসা

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জন ডা. আব্দুল আহাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে বিদেশে নেওয়ার সিদ্ধান্ত এসেছে। তবে কোন দেশে নেওয়া হবে, তা রাতের মধ্যে চূড়ান্ত হবে। এছাড়া বর্তমান শারীরিক অবস্থায় হাদি নিরাপদভাবে বিদেশে যাওয়া সম্ভব কি না, সে বিষয়ে মেডিকেল বোর্ডের চূড়ান্ত অনুমোদন এখনও দেয়নি। আশা করা হচ্ছে, আগামীকাল সকালে বোর্ড সিদ্ধান্ত জানাবে।

এদিকে হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শেরপুরের নালিতাবাড়ী এলাকায় সীমান্ত দিয়ে লোক পারাপারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রাজনীতিতে ওসমান হাদির উত্থান যেভাবে

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. নজরুল ইসলাম জানান, ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও মূল হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলবে। তিনি জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “যদি এ ঘটনায় কোনো তথ্য থাকে, তা নিকটস্থ থানায় অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে জানান।”

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সন্ত্রাসীরা দেশের বাইরে পালাতে না পারে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা দুই আসামি এখনও দেশে আছে। হামলাকারী ফয়সাল মোটরসাইকেলের পেছনে বসেছিল এবং আলমগীর মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল। পুলিশ জানায়, ফয়সাল গত জুলাইয়ে থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে এসেছে।

ওসমান হাদির পরিবারের সদস্যরা মামলার দায় নেবেন—এ বিষয়ে পুলিশ আশা করছে, পরিবারের মাধ্যমে মামলা হবে। যদি পরিবার নিজে দায়ী না হতে পারে, তবে ড্রাফট করে পরিবারের স্বাক্ষরে মামলা দায়েরের ব্যবস্থা করা হবে।