জামায়াতে যোগদান করলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মো. রফিকুল ইসলাম

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১০:০২ অপরাহ্ন, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১০:০২ অপরাহ্ন, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের সাবেক জিএস আলহাজ মো. রফিকুল ইসলাম বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেছেন।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠনটিতে যোগ দেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সম্মানিত আমীর ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

আরও পড়ুন: জমায়েত বাড়ছে শাহবাগে, রাতভর থাকার ঘোষণা

সাক্ষাৎকালে আমীরে জামায়াতের উপস্থিতিতে আলহাজ মো. রফিকুল ইসলাম বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দলের অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। পরে তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

যোগদানকালে আলহাজ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধ, দেশের স্বার্থ এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তিনি তাঁর অবশিষ্ট জীবন উৎসর্গ করতে চান। একইসঙ্গে তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিয়ম-নীতি, আদর্শ, দলীয় শৃঙ্খলা ও নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

আরও পড়ুন: মনোনয়ন বঞ্চিত বিএনপি নেতা কৃষিবিদ পলাশের আবেগঘন বক্তব্য

এ সময় আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান তাঁকে আন্তরিকভাবে আলিঙ্গন করেন এবং তাঁর দীর্ঘ নেক হায়াত কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মো. রমজান আলী, ভৈরব উপজেলা আমীর মাওলানা কবির হোসেন এবং ভৈরব পৌরসভা আমীর শাহজাহান সরকার।

উল্লেখ্য, আলহাজ মো. রফিকুল ইসলাম একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার পাশাপাশি একজন প্রজ্ঞাবান শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক হিসেবেও পরিচিত। ষাটের দশকে তিনি ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং হাজী আসমত কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ডাকসুর নির্বাচিত নাট্য ও প্রমোদ সম্পাদক হিসেবেও তাঁর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি কুলিয়ারচর–ভৈরব–কিশোরগঞ্জ অঞ্চলে সরাসরি অপারেশনে অংশ নেন। স্বাধীনতার পর তিনি শিক্ষা ও সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে নিয়োজিত করেন।

ফাতেমা রমজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শহীদ আরবুর রহমান কিন্ডারগার্টেন, মুর্শিদ–মুজিব উচ্চ বিদ্যালয়, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজ এবং হালিমা সাদিয়া মহিলা মাদ্রাসাসহ একাধিক শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নে তাঁর অবদান ভৈরব অঞ্চলে বিশেষভাবে স্মরণীয়। তাঁর ত্যাগ, দূরদর্শিতা ও সমাজচিন্তা নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার আলোকস্তম্ভ হয়ে থাকবে।