৫ মাস বেতন পান না নারী ক্রিকেটাররা

দেশে পুরুষ ক্রিকেটারদের জন্য নিয়মিত বেতনের পাশাপাশি ম্যাচ জয়ে এবং সিরিজ জয়ে আলাদা বোনাসও থাকে। অথচ গত ৬ মাসের মধ্যে ৫ মাস ধরেই বেতন পান না নারী ক্রিকেটাররা!
পুরুষ ক্রিকেটাররা হতাশা ছড়ালেও বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটাররা নিয়মিত সাফল্য পাচ্ছেন। গত জুলাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ১-১ ড্র করার পর পাকিস্তানের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জেতেন জ্যোতিরা। সবমিলিয়ে শেষ ৮টি ওয়ানডের ৪টিতেই জয় তুলে নিয়েছেন টাইগ্রেসরা। আর সেই নারী দলের ক্রিকেটাররাই কি না দীর্ঘদিন ধরে বেতন পাচ্ছেন না।
আরও পড়ুন: নেদারল্যান্ডসকে ১০৩ রানে গুঁড়িয়ে দিল টাইগাররা, সিরিজ জয়ের পথে বাংলাদেশ
গত জুন মাসে নিগার সুলতানা জ্যোতি, সালমা খাতুনদের ২০ শতাংশ বেতন বাড়ানোর ঘোষণা দেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। পাঁচ মাস কেটে গেলেও বাড়তি অংশ তো বটেই, আগের বেতনও পাচ্ছেন না নারী ক্রিকেটাররা।
নারী ক্রিকেটারদের মধ্যে বেতন ইস্যুতে আক্ষেপ বিরাজ করলেও কেউ বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে রাজি হননি। তবে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেতন বন্ধের কারণও জানানো হয়নি বিসিবির তরফ থেকে। আবার কেউ কেউ বিষয়টি নিয়ে বাইরে আলোচনার করছেন, এমন অভিযোগ নিয়েও সতর্ক অবস্থানে বিসিবি।
আরও পড়ুন: হারের পর প্রতিপক্ষ কোচকে থুতু ছুড়লেন সুয়ারেজ, সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার ঝড়
কেন নারী ক্রিকেটারদের বেতন বন্ধ রয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে সংবাদমাধ্যমকে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন বলেন, 'অন্য কোনো ইস্যু এখানে নেই। (কেন্দ্রীয় চুক্তির) তালিকা চূড়ান্ত করার কাজ বাকি ছিল, তাই দেরি হচ্ছে। আমরা খুব শিগগিরই হয়তো দিয়ে দেবো। '
বছরের শেষ পর্যায়ে এসে তালিকা তৈরির কাজ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমাদের সব ঠিক আছে। তালিকার কাজ প্রক্রিয়াধীন। চূড়ান্ত হয়ে গেলে দিয়ে দেবো। ' তবে বিসিবির নারী বিভাগের এক কর্মকর্তা দায় স্বীকার করে বলেন, 'এটা (বেতন না দেওয়ার বিষয়টি) আমাদের খোঁজ রাখা উচিত ছিল। আমাদের দায় আছে। দুই-একদিনের মধ্যেই হয়তো সুরাহা হয়ে যাবে। '
বিসিবি ক্রিকেটারদের জন্য এক বছরের কেন্দ্রীয় চুক্তি করে। বর্তমান চুক্তিতে আছেন ২৫ জন ক্রিকেটার। তাদের ২০ শতাংশ বেতন বাড়ানোর কথা ছিল আরও আগেই। এমনকি কয়েকজন ক্রিকেটারের বেতন রাউন্ড ফিগার করতে কিছু অর্থ যোগ করার কথাও ছিল।
নারী ক্রিকেটারদের বেতন সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা, সর্বনিম্ন ৩০ হাজার। যা ছেলেদের তুলনায় নগণ্য। তারপরও জুনের পর থেকে বেতন বন্ধ এবং এর কারণটাও মেয়েদের জানানো হয়নি। এ নিয়ে প্রশ্ন করলে নারী বিভাগের ওই কর্মকর্তা বলেন, 'চুক্তি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আমরা তৈরি করে বোর্ডে জমা দিলেও অনুমোদন করা হয়নি এখনও। এ কারণেই জটিলতা দেখা দিয়েছে। '