বিপিএলের কোয়ালিফায়ার থেকে ছিটকে গেলেন মুস্তাফিজ

Abid Rayhan Jaki
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩:৫১ অপরাহ্ন, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | আপডেট: ৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

চোট পেয়ে আপাতত মাঠের বাইরে আছেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। অনুশীলনের সময় আঘাত পেয়ে মাথায় সেলাই দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু দিন লাগবে তার ফিট হয়ে উঠতে। তাই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে খেলতে পারবেন না এই পেসার। 

শনিবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী।

আরও পড়ুন: আইএল টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবার দল পেলেন মোস্তাফিজ

চিকিৎসক দেবাশীষ বলেন, মুস্তাফিজের মাথার সেলাই এখনো না-কাটায় ২৬ তারিখ খেলতে পারবেন না তিনি। ২৬ তারিখের পরে ফেরার সম্ভাবনা আছে। এখন আমরা যেটা করি সেলাই ৭ দিনে না খুলে আরও এক-দুদিন বাড়িয়ে দেই, যাতে ঝামেলা না হয়। সেই হিসেবে চিন্তা করলে ২৬ তারিখ তাড়াতাড়ি হয়ে যায়।

চিকিৎসক দেবাশীষ আরও বলেন, আঘাত লেগেছে ১৮ তারিখ, সে হিসেবে চিন্তা করলে ৭ দিন গেল। সেলাইটা ৭-১০ দিনের মধ্যে কাটা হয়। আমার গতকালই মনে হয়েছে যে কাটার সময় হয়নি। এগুলো সার্জনের ব্যাপার, তার কাছে পাঠিয়ে দেব। তারা যেটা বলে সেটা অনুসরণ করি। সার্জনেরও ধারণা ৭ থেকে ১০ দিন লাগবে সেলাই কাটতে। ১০ দিন ধরলে তো ২৬ তারিখ খেলতে পারবে না। আমারও দেখে মনে হয়েছে সময় হয়নি কাটার।

আরও পড়ুন: দোহায় বসুন্ধরা কিংসের হয়ে সম্ভাব্য অভিষেক কিউবা মিচেলের


গত রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলন করার সময় আঘাত পান মুস্তাফিজ। বিদেশি সতীর্থ ম্যাথু ফর্ড যখন ব্যাট করছিলেন, তখন বোলিং প্রান্তে ছিলেন ফিজ। হঠাৎ বল উড়ে গিয়ে ফিজের মাথায় আঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় মুস্তাফিজকে স্ট্রেচারে শুইয়ে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয়। পরে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয় চট্টগ্রামের ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে। তার মাথায় ৫টি সেলাই লাগে।

পরবর্তীতে মুস্তাফিজের সিটি স্ক্যান রিপোর্টসহ নিউরো সার্জন বিসিবির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে। এরপর তাকে হাসপাতাল ছেড়ে ঢাকার টিম হোটেলে যোগদানের ছাড়পত্র দেওয়া হয়। ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় কুমিল্লার টিম হোটেলে যোগ দেন মুস্তাফিজ। বর্তমানে বিশ্রামে আছেন এই পেসার।

আগামী সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) প্রথম কোয়ালিফায়ারে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে কুমিল্লা। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে দলের অন্যতম সেরা পেসারের ঘাটতি নিশ্চিতভাবেই টের পাবে কুমিল্লা। তবে ফাইনালের টিকিট পেতে এই ম্যাচ হারলেও আরও একটি সুযোগ থাকবে ভিক্টোরিয়ান্সদের।