৭ উইকেটে জয়ের মাধ্যমে ৯ বছরের খরা কাটালো বাংলাদেশ

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তানকে ৭ উইকেট হারিয়ে ৯ বছরের খরা কাটালো বাংলাদেশ। দলের জয়ে ৩৯ বলে ৩টি চার আর ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৫৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন পারভেজ হোসেন ইমন। তার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ২৮ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশ। এই জয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০তে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ২০১৬ সালে এশিয়া কাপে ৫ উইকেটে জেতার পর দেশে কিংবা দেশের বাইরে টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ।
রোববার (২০ জুলাই) মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯.৩ ওভারে ১১০ রানেই অলআউট হয় পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন ওপেনার ফখর জামান। এছাড়া আব্বাস আফ্রিদি করেন ২২ রান ।
আরও পড়ুন: পূর্ব তিমুরকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
বাংলাদেশ দলের হয়ে ৩.৩ ওভারে ২২ রানে ৩ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। ৪ ওভারে মাত্র ৬ রানে ২ উইকেট নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে দেশি ক্রিকেটার হিসেবে রেকর্ড গড়েন মোস্তাফিজুর রহমান।
বাংলাদেশ ১২০ বলে মাত্র ১১১ রানের সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে যায়। ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ফুটবলের বিস্ময়কর বালক সোহানের পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা
ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম পাকিস্তানি বাঁহাতি পেসার সালাম মিরাজের করা ইনিংসের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হন। ৪ বলে ১ রান করে তানজিদ।
তানজিদ আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাঁহাতি পেসার সালাম মিরাজের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। তিনিও তানজিদের মতো ৪ বলে মাত্র ১ রানে ফেরেন।
লিটনের বিদায়ে ২.২ ওভারে মাত্র ৭ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর দলের হাল ধরেন তাওহিদ হৃদয় ও পারভেজ হোসেন ইমন। তারা ৬২ বলে ৭৩ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের দুয়ারে নিয়ে যান।
তাওহিদ হৃদয় ৩৭ বলে দুই চার আর দুই ছক্কায় ৩৬ রানে আউট হওয়ার পর জাকের আলি অনিককে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। তিনি ইনিংস ওপেন করতে নেমে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।