যান্ত্রিক ত্রুটিতে বিমান বাংলাদেশের দুটি ফ্লাইট বাতিল

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:৩২ অপরাহ্ন, ১২ অগাস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১০:০৩ অপরাহ্ন, ১২ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বারবার যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে উড়োজাহাজ সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। এর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সংস্থাটির ঢাকা-কুয়েত ও ঢাকা-চট্টগ্রাম-দুবাই রুটের দুটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সূত্র জানায়, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কিছু উড়োজাহাজ মেরামতের পরও পুনরায় সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কোনো কোনো উড়োজাহাজ বর্তমানে গ্রাউন্ডেড অবস্থায় রয়েছে, ফলে ফ্লাইট পরিচালনায় বিঘ্ন ঘটছে।

আরও পড়ুন: বোমা পাওয়া যায়নি, ঢাকা-কাঠমান্ডু ফ্লাইট চলবে

বাতিল হওয়া ফ্লাইট দুটির মধ্যে বিজি-৩৪৩ ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে কুয়েত যাওয়ার কথা ছিল বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে। অপরদিকে, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাইগামী ফ্লাইটটি বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে ছাড়ার কথা ছিল। দুটি ফ্লাইটই বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার দিয়ে পরিচালনার পরিকল্পনা ছিল।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, বাতিল হওয়া ফ্লাইট দুটি আগামীকাল পুনরায় পরিচালিত হবে এবং যাত্রীদের নতুন সময়সূচি জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ঢাকা-কাঠমান্ডু ফ্লাইটে বোমা থাকার হুমকি, শাহজালালে সতর্কতা জোরদার

এদিকে রোমে গ্রাউন্ডেড থাকা একটি ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ মেরামতের কাজ চলছে। বিমানের নিজস্ব পাঁচজন প্রকৌশলী ইতোমধ্যে রোমে পৌঁছেছেন। আশা করা হচ্ছে, আজ সন্ধ্যার মধ্যেই উড়োজাহাজটি উড্ডয়ন উপযোগী হবে। এরপর হোটেলে থাকা ২৬২ জন যাত্রী ও ক্রুদের নিয়ে সেটি ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হবে।

উল্লেখ্য, গত ১০ আগস্ট রোমে বিমান বাংলাদেশের একটি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গ্রাউন্ডেড হয়। এ ঘটনায় ফ্লাইটে থাকা যাত্রী ও ক্রুদের হোটেলে রাখা হয়েছে এবং বিমান কর্তৃপক্ষ তাদের সব খরচ বহন করছে।

প্রসঙ্গত, গত এক মাসে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অন্তত ৯টি উড়োজাহাজে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চাকা খুলে পড়া, চাকা ফেটে যাওয়া, ইঞ্জিনে অতিরিক্ত কম্পন, কেবিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, ল্যান্ডিং গিয়ারের দরজা ঠিকভাবে বন্ধ না হওয়া—এ ধরনের একাধিক গুরুতর সমস্যা।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বারবার এ ধরনের যান্ত্রিক ত্রুটি উড়োজাহাজের রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থার দুর্বলতাকেই ইঙ্গিত করছে। এ নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে উদ্বেগও বাড়ছে।