বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ, শিগগিরই ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৫৭ অপরাহ্ন, ২৬ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১২:৫৭ অপরাহ্ন, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এই গভীর নিম্নচাপটি খুব শিগগিরই ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। রোববার (২৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় প্রকাশিত বিশেষ আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সকাল ৬টার পরিমাপে গভীর নিম্নচাপটির অবস্থান ছিল চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১,৩৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার থেকে ১,২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা থেকে ১,৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবংপায়রা থেকে ১,২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে।আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে।

আরও পড়ুন: ঢাকায় শীত কবে আসবে জানালেন আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সতর্কভাবে চলাচলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ নিম্নচাপে পরিণত, ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেন, গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে, এটা নিশ্চিত। সম্ভাব্য আঘাতস্থল হতে পারে ভারতের ওডিশা বা অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল। সোমবার (২৭ অক্টোবর) এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে এবং মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) এটি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে ভারতের ওডিশা ও তামিলনাড়ু উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

বাংলাদেশে সরাসরি আঘাতের সম্ভাবনা না থাকলেও, তিনি বলেনস্থলভাগে উঠে ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে ভারতের বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। এর ফলে আগামী বুধবার (২৯ অক্টোবর) থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে।

রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে, যা অক্টোবরের শেষ দিন পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছেন বজলুর রশীদ। রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতেও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (IMD) জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি অন্ধ্র প্রদেশের মাচিলিপত্তম ও কালিঙ্গাপত্তমের মধ্যবর্তী এলাকা এবং কাকিনাড়ার আশপাশে আঘাত হানতে পারে। এ সময় বাতাসের সর্বোচ্চ স্থায়ী বেগ ঘণ্টায় ৯০১০০ কিলোমিটার এবং দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার বেগ ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।