বন্দরে ভলান্টিয়ারদের নিয়ে প্যালিয়েটিভ কেয়ার বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আয়াত এডুকেশন’র আয়োজনে ‘মমতাময় নারায়ণগঞ্জ’ প্রকল্পের আওতায় বন্দর উপজেলার ভলান্টিয়ারদের কমিউনিটি ভিত্তিক প্যালিয়েটিভ কেয়ার কার্যক্রমের সাথে তাদের উদ্বুদ্ধ করতে এবং প্রকল্পের কল্যাণমূলক কাজে তাদের সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করা হয়।
আয়াত এডুকেশনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর সুমিত বণিক এর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বন্দর প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা মো. কবির হোসেন, লায়ন্স ক্লাব অফ ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সিটি’র ডিরেক্টর বাবু ছারোয়ার, স্টাডি কিন্ডার গার্ডেনের পরিচালক আ. জলিল ভুইয়া, মমতাময় নারায়ণগঞ্জ প্রকল্পের ফিল্ড অফিসার মোঃ হাসান হাফিজুর রহমান, লিও ক্লাব অব নারায়ণগঞ্জ সিটির সভাপতি জাকারিয়া হোসেন, এ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট অফিসার, কমিউনিটি মবিলাইজার ফাহিম হোসেন, অনন্যা রহমান, বিডি ক্লিন’ নারায়ণগঞ্জ সদর’র সমন্বয়ক শফিকুল ইসলাম, পূজা রাণী সরকার, প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সাদা পাথর রক্ষায় প্রশাসনের ৫ দফা সিদ্ধান্ত
সুমিত বণিক বলেন, ‘ভলান্টিয়াররা যেকোন সমাজের জন্য প্রাণ শক্তি। এই শক্তিকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। ভলান্টিয়াররা ঐক্যবদ্ধ হলে সমাজের যেকোন কল্যাণমূলক কাজে সফল হওয়া সম্ভব। ভলান্টিয়ারিংয়ের মাধ্যমে নতুন দক্ষতা শেখা এবং পুরনো দক্ষতা উন্নত করার সুযোগ পাওয়া যায়, সেই সাথে অন্যদের সাহায্য করার মাধ্যমে জীবনের প্রকৃত অর্থ খুঁজে পাওয়া সম্ভব। পাশাপাশি আমরা ‘মমতাময় নারায়ণগঞ্জ’ প্রকল্পের অধীনে বন্দর উপজেলায় একটি সহায়ক পরিবেশ গড়ে তুলতে চাই, যেখানে কোন দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত অসহায় বা নিরাময় অযোগ্য রোগে আক্রান্ত অসুস্থ ব্যক্তি প্যালিয়েটিভ কেয়ারের সেবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে না। সেই আমাদের প্রত্যাশা ভলান্টিয়াররা যার যার অবস্থান থেকে রোগীদের পাশে থাকবে।’
মো. কবির হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, ‘ইতিবাচক মানসিকতা ও সামাজিক দক্ষতা বৃদ্ধি করার জন্য ভলান্টিয়ারিং একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। এটি সহানুভূতি বৃদ্ধি করতে সহায়ক, যা ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। অন্যদের প্রতি সহানুভূতির অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্য ও মমত্ববোধ বাড়ে। ভলান্টিয়ারিং-এর মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায়, যা যোগাযোগ দক্ষতা উন্নত করতে সাহায্য করে, সেই সাথে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সমস্যা সমাধানের দক্ষতাও বৃদ্ধি পায়।’
আরও পড়ুন: পাবনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা পরিবহণ ধর্মঘট প্রত্যাহার
সারোয়ার আলম বলেন, ‘ভলান্টিয়ারিং জীবনের অর্থ খুঁজে পেতে সহায়তা করে, কারণ অন্যদের প্রতি অবদান রাখার মাধ্যমে জীবনে সন্তুষ্টি অনুভব হয়। ভলান্টিয়ারিং কেবলমাত্র অন্যদের সাহায্য করার একটি উপায় নয়, বরং এটি ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে সফলতার একটি মাধ্যমও। ভালো কর্মসংস্থানের সুযোগ লাভের জন্য অনেক প্রতিষ্ঠানে ভলান্টিয়ারিং অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। আর ভলান্টিয়ার হিসেবে নিজের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য মমতাময় নারায়ণগঞ্জ প্রকল্পের কার্যক্রমে সম্পৃক্ততাকে আমি একটি উত্তম ক্ষেত্র মনে করি। তাই আমি আশাকরি আপনারা বরাবরের মতো আন্তরিকতার সাথে প্যালিয়েটিভ কেয়ারের রোগীদের কল্যাণে কাজ করে যাবেন।’