কমলনগরে বৃদ্ধার লালসার শিকার ৫ বছরের শিশু, এলাকাজুড়ে তোলপাড়

Sanchoy Biswas
হাবিবুর রহমান, কমলনগর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৮:০২ অপরাহ্ন, ১৩ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ৬:৫৩ অপরাহ্ন, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চর কাদিরা ইউনিয়নের চরবসু এলাকায় ৬৫ বছর বয়সী বশির সর্দার নামের এক বৃদ্ধার যৌন লালসার শিকার হয়েছে ৫ বছরের এক শিশু।

শিশুটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ছাত্র। মাদ্রাসা থেকে সামান্য দূরে বখাটের দোকানে চিপস কিনতে গিয়ে সে এই লালসার শিকার হয়। ঘটনার পর অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে। এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী বাঁচাতে ছয় দফা অঙ্গীকার বাস্তবায়নে জামায়াতের র‌্যালি

গত ১১ অক্টোবর দুপুর সাড়ে এগারোটার দিকে স্থানীয় চরবসু বাজারে বখাটের চা-দোকানের পিছনে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত বশির ওই এলাকার মৃত আলী হোসেনের ছেলে। পেশায় তিনি একজন চা দোকানদার। তবে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করায় সোমবার (আজ) ঘটনাটি গণমাধ্যমের নজরে আসে।

শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১১ অক্টোবর শনিবার প্রতিদিনের মতো মাদ্রাসায় পড়তে যায় শিশুটি। দুপুর সাড়ে এগারোটার দিকে মাদ্রাসা সংলগ্ন বশিরের চা-দোকানে চিপস কিনতে যায় সে। এ সময় একা থাকার সুযোগে শিশুটিকে দোকানের পিছনে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয় বশির। পরে চকিতে সুইয়ে পড়নের স্যালোয়ার খুলে শিশুটির সাথে নোংরামো করে। পরে শিশুটির হাতে একটি চিপসের প্যাকেট ধরিয়ে দিয়ে কাউকে না বলার ভয় দেখায় বশির।

আরও পড়ুন: দেবীদ্বারের কৃষিতে ফিরেছে সবুজ হাসি

শিশুটির মা বলেন, শিশুটি বাড়িতে আসার পর তার হাঁটা-চলার সময় অসংলগ্নতা লক্ষ্য করেন তিনি। পরে একটি সময় দেখতে পান মেয়েটির যৌনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। স্বামী প্রবাসে থাকায় তাৎক্ষণিক আত্মীয় স্বজনদের বিষয়টি জানান তিনি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার আগেই পরিবারের সদস্যরা সহ অভিযুক্ত বশির এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। একটি পক্ষ বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেয়। যার কারণে থানায় অভিযোগ করেননি। অবশেষে সমাধান না পেয়ে ন্যায় বিচারের জন্য মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।

ভুক্তভোগী শিশুটি সাংবাদিককে বলেন, মাদ্রাসা বিরতির সময় চিপস কিনতে বশিরের দোকানে যায়। এ সময় বশির তাকে দোকানের পিছনে নিয়ে একটি চকিতে সুইয়ে পড়নের স্যালোয়ার খুলে ফেলেন। (ধারণ করা শিশুটির বক্তব্য উপস্থাপনযোগ্য নয়)।

সরেজমিনে গেলে শিশুটির ফুফা জামাল উদ্দিন, সাবেক ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন, বর্তমান ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিনসহ অন্তত দেড়ডজন স্থানীয় লোক জানান, অভিযুক্ত বশির এর আগে এলাকার একাধিক ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তিনি একজন লম্পট প্রকৃতির মানুষ। শিশুটির সঙ্গে নোংরামোর ঘটনায় পুরো এলাকার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাকে ধরার চেষ্টা করেছেন, তবে এর আগে সে পালিয়ে যায়। তারা অভিযুক্ত বশিরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

অভিযুক্ত বশির পলাতক থাকায় এবং পরিবারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

কমলনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি তহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। ভুক্তভোগী পরিবার এখনও থানায় অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।