সুনামগঞ্জে দ্বিতীয়দফায় বন্যা, দুর্ভোগে হাওর এলাকার মানুষ

সুনামগঞ্জে বুধবার রাতে ভারী বৃষ্টি হয়নি এবং একই সময়ে পাহাড়ি ঢল কম নামায় সুরমা নদীর পানি কমেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের ষোলঘর পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে বৃষ্টি হয়েছে ২৫ মিলিমিটার। এই সময়ে উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি হয়েছে ৪৪ সেন্টিমিটার। দুই স্থানে বৃষ্টি কম হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে এমনটা মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বন্যার পানিতে প্লাবিত থাকায় সুনামগঞ্জ -তাহিরপুর সড়কে এখনো সরাসরি যান চলাচল বন্ধ আছে। পানি নেমে যাওয়ায় সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর, সুনামগঞ্জ -জামালগঞ্জ সড়ক দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। তবে এখনো তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর, সদর উপজেলার নিচু এলাকা মানুষের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাটে পানি আছে। মানুষজন নৌকা নিয়ে চলাফেরা করছেন৷ এতে ভোগান্তি বেড়েছে।
আরও পড়ুন: ফের খুলে দেওয়া হলো কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট
সুনামগঞ্জে গত ১৬ জুন থেকে বন্যা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে পুরো জেলা বন্যাকবলতি হয়ে পড়ে। প্লাবিত হয় জেলার এক হাজার ১৮টি গ্রাম। আট লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েন। অসংখ্য ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়। মানুষের বাড়িঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনে আশ্রয় নেন ২৫ হাজার পরিবার। ২৩ জুনের পর থেকে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে মানুষ বাড়িঘরে ফেরেন। মানুষ স্বস্তি ফেলার আগেই আবার বন্যা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা দেখা দেয়। আজ বৃহস্পতিবার মেঘলা আকাশে কিছুটা রোদের ঝলক মিলেছে।