বরগুনায় ব্রীজ ভেঙে একই পরিবারের ৭জন নিহত
প্রশাসনের গাফলতির প্রতিবাদ ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানববন্ধন

গত ২২ জুন বরগুনার আমতলীতে ব্রীজ ভেঙে মাইক্রোবাস পানিতে পড়ে শিবচরের একই পরিবারে ৭ জনের নিহত হওয়ার ঘটনায় আমতলী প্রশাসনের গাফলতির প্রতিবাদ ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানববন্ধন করেছে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী। আজ সকাল সাড়ে ১০ টায় শিবচর প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় নিহতের পরিবারের লোকজন দাবি করেন বরগুনা আমতলীতে ব্রীজ ভেঙে একই পরিবারে ৭ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় আমতলী প্রশাসনের গাফলতি ছিলো।
এছারাও ব্রিজের ঠিকাদারের কাজের অনিয়মের কথাও তুলে ধরেন তারা। মানববন্ধনে ঠিকাদার শহিদুল ইসলামের ফাঁসির দাবি জানান এবং এ দূর্ঘটনাকে হত্যাকান্ড বলে দাবি করছেন নিহতের পরিবার। নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি অংশগ্রহন করেছেন নিহতের স্বজন এলাকাবাসী ও শিবচরর সর্বস্তরের জনগন। পরে এই সড়ক দুর্ঘটনার তদন্ত দাবি করে জড়িতদের বিচারের দাবিতে উপজেলা প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা।
আরও পড়ুন: ঘাট নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, বিএনপির কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ
উল্লেখ্য গত ২২জুন শনিবার বরগুনার আমতলিতে বোনের মেয়ে হুমায়রার বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকা থেকে যায় শিবচরের ভদ্রাসনের চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ব্যাংক কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ তার পরিবার ও আত্মীয় স্বজন নিয়ে বৌভাতে অংশ নিতে যাওয়ার পথে দুপুরে বরগুনা জেলার আমতলী এলাকার হলদিয়া-চাওড়া সীমান্তবর্তী চাওড়া হলদিয়া খালের ওপর লোহার ব্রিজ ভেঙে মাইক্রোবাস পানিতে পড়ে যায়। এতে ব্যাংকার আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী মুন্নী বেগম, দুই মেয়ে তাহিয়া, তাসফিহা, তার বড় ভাই বাবুল মাদবরের স্ত্রী ফাতেমা বেগম, বোন ফরিদা বেগম, ফরিদা বেগমের ছেলে সোহেল খানের স্ত্রী রাইতি বেগম, রাইতির মা রুমি বেগম নিহত হয়। এদের সবার বাড়ি ভদ্রাসনের সাহাপাড়া ও চরপাড়া গ্রামে।