সড়কে নেমেছে ট্রাফিক পুলিশ: বরিশালের ফুটপাত দখল মুক্ত করছে শিক্ষার্থীরা

ছবিঃ সংগৃহীত
সড়কে নেমেছেন বরিশালের ট্রাফিক পুলিশ। তারা ছোট্ট ছোট্ট শিক্ষার্থীদের পাশে নিয়ে এই মূহুর্তে সড়কের ট্রাফিক সামলাতে ব্যস্ত দায়িত্ব পালন করছেন। কখনো আবার শিক্ষার্থীদের নিয়ম বুঝিয়ে দিয়ে নিজেরা অন্যপাশে দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে তাদের। ১২ আগস্ট সোমবার এই দৃশ্য দেখা গেছে বরিশাল নগরীর কাকলীর মোড় ও জিলা স্কুলের সামনের চৌরাস্তায়।
আবার নগরীর বাংলা বাজার ও সদর রোড এলাকার ফুটপাত থেকে ব্যাবসায়ীদের মালামাল, তেলের ড্রাম, আলু ও চালের বস্তা, ফুটপাতে বসা ভাসমান দোকান সরিয়ে নেয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে একদল শিক্ষার্থীকে।
বরিশাল জিলা স্কুলের মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক এসআই সালাম জানালেন, শিক্ষার্থীরা চমৎকার ভূমিকা পালন করছে। আমরা যা পারিনা ওরা তা অতিসহজেই করে দেখিয়ে দিয়েছে। ব্যবসায়ীরা যেমন ওদের কথা শুনছেন তেমনি সড়কে একটা মোটরসাইকেল এখন হেলমেট ছাড়া চলছে না শহরে। কেউ ওভারটেক করার প্রতিযোগিতা করেনা এখন আর। এজন্য ওরা তাদের আত্মীয় স্বজনকে কোনো ছাড় দিচ্ছে না।আমরা এটা পারিনি এতোদিন। এখন পারবো ইনশাআল্লাহ।
একই কথা বললেন কাকলী মোড়ের কনস্টেবল আশরাফ। তিনি বলেন, ওদের পাশাপাশি আমরা আমাদের মতো কাজ করছি। কখনো কখনো ওরা ওটা ওটা নিয়ম জানতে ছুটে আসছে। তবে সড়কের মাঝখানে ওদের তিন-চারজন দাঁড়িয়ে থাকাটা ঝুকিপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি।
এদিকে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ সোমবার সকাল থেকে ফুটপাত দখল মুক্ত করার নোটিশ দিচ্ছে ভাসমান ও স্থায়ী ব্যবসায়ীদের। আরেকটা অংশ গিয়েছে সাবরেজিস্টার অফিসের তদারকি করতে। আর সড়কের দায়িত্বরত শিক্ষার্থীরা আগের মতোই তাদের কাজ করে যাচ্ছেন নগরীর সব সড়কে। গার্লস গাইডের একজন শিক্ষার্থী ছানা বললেন, ট্রাফিক পুলিশ আংকেলরা দায়িত্ব পালন করতে আসার পর থেকে আমাদের সম্মান আরো বেড়ে গেছে। তারা পাশে থাকায় আমরাও কাজে আরোবেশি উৎসাহ পাচ্ছি। কারণ এখন আর কেউ আমাদের ভুল ধরতে আসবেনা। জটিলতা দেখলেই ট্রাফিক পুলিশ আংকেলরা ছুটে এসে তা মোকাবেলা করছেন।
এদিকে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার ট্রাফিক তানভীর আরাফাত বললেন, আমাদের ট্রাফিক পুলিশের সবাই কাজে নেমে পরেছেন। দু-এক স্থানে হয়তো এখনো দায়িত্ব বন্টন শেষ হয়নি। তবে আগামীকাল থেকে বরিশালের প্রতিটি পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশ থাকবে।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীরা এরপরও ট্রাফিক সামলাবে নাকি ঘরে ফিরে যাবেন এটা সম্পূর্ণ তাদের বিষয়। তবে পুলিশ এখন থেকে জনগণের জন্য কাজ করবে বলে জানান তানভীর আরাফাত।
অন্যদিকে বরিশালের পুলিশ কমিশনার জিহাদুল করির বলেছেন, আমাদের পুলিশতো বরিশাল থেকে কখনোই চলে যায়নি। তারা থানাতেই ছিলো। সোমবার সকাল থেকে সবাই যার যার দায়িত্ব বুঝে নিয়ে কাজ শুরু করেছে। ট্রাফিক পুলিশও কাজে নেমে এসেছে। আমরা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি এবং করবো এটাতো সবসময়ই চূড়ান্ত। পুলিশের জন্য কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত যখন যা হবে তা-ই বাস্তবায়ন করতে হবে বলে জানান পুলিশ কমিশনার জিহাদুল করির।