লক্ষ্মীপুর কমলনগর

নদীর তীর রক্ষা বাঁধ কেটে রাস্তা-অস্থায়ী জেটি নির্মাণ, ঝুঁকিতে উপকূল

Abid Rayhan Jaki
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৩:০৭ অপরাহ্ন, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ৮:১৫ পূর্বাহ্ন, ১৬ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মাতাব্বরহাট এলাকা মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধ কেটে ও ব্লক সরিয়ে ট্রাক্টর চলাচলের জন্য রাস্তাসহ দুটি অস্থায়ী জেটি স্থাপন করেছে একটি প্রভাবশালী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এতে মাটি সরে বাঁধটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যেকোন সময় বাঁধে ধ্বস নেমে উপকূল ঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। 

সরেজমিনে কমলনগর উপজেলার মাতাব্বর হাট বাজার এলাকা নদী তীর রক্ষা বাঁধটিতে গিয়ে দেখা যায়, বাঁধ ঘেঁষেই ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের ব্লক নির্মাণের কারখানা। নদীর অন্যান্য এলাকায় বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পে তারা ৫টি প্যাকেজের ১৫টি লটে কাজ করছেন। এতে সেসব স্থানে ব্লক নিতে নদীপথ ব্যবহারের জন্য তার তীর রক্ষা বাঁধটি কেটে ট্রাক্টর চলাচলের রাস্তা করে নেয়। এছাড়া বাঁধের ব্লক সরিয়ে দুটি অস্থায়ী জেটি স্থাপন করে। বেড়িবাঁধ কেটে স্থাপন করা একটি জেটিতে ভেক্যু মেশিন রেখে ট্রাক্টরের ওপর থেকে ব্লকগুলো নৌযানে উঠাতে দেখা যায়। এছাড়া মাটি কাটা দুটি স্থানেই বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। মাটি ও ব্লক সরিয়ে রাস্তা-জেটি নির্মাণে বাঁধটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। মেঘনা নদীর মাতাব্বরহাট এলাকা ভাঙনে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ।

আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নেত্রকোণায় যুবদলের মিলাদ মাহফিল

ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী ইঞ্জিনিয়ার মো. বোরহান বলেন, মেঘনার তীর রক্ষা বাঁধের প্রকল্পের ৫টি প্যাকেজে লুধুয়া, পাটওয়ারির হাটসহ বিভিন্ন এলাকায় আমাদের কাজ চলমান রয়েছে। সেসব স্থানে ব্লক নেওয়ার জন্য বাঁধ কেটে ট্রাক্টরের জন্য রাস্তা করা হয়েছে। এছাড়া বাঁধের ব্লক সরিয়ে দুটি অস্থায়ী জেটি নির্মাণ করা হয়েছে। তবে এর জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে তারা লিখিত কোন অনুমোদন নেননি। বাঁধটি কোন ক্ষতি হবে না আশা করছি। আমাদের কাজ শেষে পুনরায় বাঁধ ঠিক করে দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, বাঁধটিতে ইতিমধ্যে কয়েকবার ধ্বস নেমেছে। এরপর আমরা তা ঠিক করে দিয়েছে। আমাদের কারখানা থাকায়, আমাদের স্বার্থেই তা ঠিক করা হয়েছে। তবে কোনভাবেই বাঁধ কাটা যাবে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি নীরব ছিলেন।

আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে জাফলং থেকে লুট হওয়া ৭ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার

কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, বেঁড়িবাঁধ কাটার বিষয়টি আমার জানা নেই। বেঁড়িবাঁধের দায়িত্ব পুরোটাই পানি উন্নয়ন বোর্ডের। তারা আমাদেরকে কিছু জানায়নি। বেঁড়িবাঁধের ওপর একটি গাছ রোপন করতে হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে অনুমতি নিতে হয়। তারা যদি আমাদেরকে বিষয়টি অবহিত করতেন, অবশ্যই তাদেরকে আমরা সহযোগীতা করতাম। বিষয়টি নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলবো।  

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী  নাহিদুজ্জামান জানান আমি আমার দুজন কর্মকর্তাকে সরজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে ।