তাড়াইলে যুবলীগ নেতার সন্ত্রাসী হামলা ও হুমকিতে একটি পরিবার পালিয়ে বেড়াচ্ছে

Any Akter
তাড়াইল সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ২:৩৫ অপরাহ্ন, ১৯ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ১২:১০ অপরাহ্ন, ০৬ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

তাড়াইল স্থানীয় যুবলীগ নেতা গোপাল ঘোষ ও তার বাহিনীর হামলায় গুরুতর আহত একটি দিনমজুর পরিবার সদস্যরা চিকিৎসা নিয়ে এখন নিরাপত্তাহীনতায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে।  থানায় মামলা নিলেও প্রভাবশালীদের চাপে পুলিশ আসামি ধরে নি। আসামিরা জামিনে বের হয়ে দীর্ঘ পরিপাক থেকে আবারো হামলার হুমকি দেয় তারা নিরাপত্তাহীনতায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে। মামলার বাদী সাজ্জাদ হোসেন স্ত্রী নুরি বেগম ও আহত সখিনা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে এখন নিরাপত্তা হুমকিতে। এক নং আসামী যুবলীগ নেতা গোপাল ঘোষ, তার ছেলে অনেক অমিত ও সুমিত এবং ভাই বাবুল ঘোষ দীর্ঘদিন ধরেই এই পরিবারটির সম্পদ আত্মসাৎ এর পাঁয়তারা করছিল। থানায় অভিযোগ থেকে জানা যায় উপরোক্ত আসামীগন ঝগড়াটে প্রকৃতির এবং ভূমিদূস্য খারাপ প্রকৃতির লোক বটে এবং আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসনমালে ০১ নং আসামী যুবলীগের তাড়াইল-সাচাইল ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক গোপাল ঘোষ এবং তার ছেলে ০২ নং আসামী নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সক্রিয় ক্যাডার অনিক ঘোষ । 

ফ্যাসিস্ট সরকারে আমলে ০১ নং আসামী ক্ষমতার দাপুট দেখিয়ে আমার এবং আমার ভাইয়ের জমি বেদখল করার জন্য পাইতারা করছিল। এই পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল  ৮ টায় সময় জখম ০১ নং স্বাক্ষী আমার স্ত্রী নিজ কাজের জন্য বাড়ির পেছনে যায়। তখন বিবাদী আমার স্ত্রীকে দেখা মাত্র অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং কু-ইঙ্গিত করতে থাকে। তখন আমি গালিগালাজের শব্দ পেয়ে এগিয়ে যাই ০৩ নং বিবাদীকে আমার স্ত্রী ০১ নং স্বাক্ষী জখমীকে গালিগালাজ করার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ০৩ নং বিবাদী আমার উপরও কিন্তু হইয়া উঠে এবং এক পর্যায়ে আমাকেও গালিগালাজ করতে থাকে। 

আরও পড়ুন: চাঁদাবাজি নয়, নেপথ্যে নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণ কাহিনী

আমি ০৩ নং বিবাদীকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে ০৩ নং বিবাদী এক পর্যায়ে অন্যান্য বিবাদীগনকে ডাক চিৎকার করে নিয়ে আসে এবং সকল বিবাদীগন আমি এবং ০১ নং স্বাক্ষী জখমী আমার স্ত্রীকে ও ০২ নং জখমী স্বাক্ষী আমার মাকে খুন জখম করে লাশ মাটিতে পুতে ফেলবে বলে হুমকি দিতে থাকে। এক পর্যার্থে আসামীদের ভয়ে আমি ও ০১ নং জখমী স্বাক্ষী এবং ০২ নং স্বাক্ষী আমার মাসহ নিজ বাড়ির উঠানে গেলে ০১ নং আসামীসহ অন্যান্য সকল আসামীরা দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সেজে, রামদা,লোহার রড, বাশের লাঠি, ইত্যাদি অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর ঝাপিয়ে পরে। ০১ নং আসামী তার হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে আমাকে খুন করার উদ্দেশ্যে আমার মাথা লক্ষ্য করে কুপ মারলে উক্ত কুপ আমি ডান হাত দিয়ে ফিরাতে গেলে আমার ডান হাতের তালুতে লেগে হাড় কাটা গুরুতর রক্তাক্ত প্রথম হয়। 

আমি কিছুটা সরে পরলে ০১ নং আসামী পুনরায় আমার মাথা লক্ষ্য করে কুপ মারলে উক্ত কুপ আমি দুই হাত দিয়ে ফিরাতে গেলে পুনরায় আমার ডান হাতের তজনী আঙ্গুলে লেগে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। সাথে সাথে আমি মাটিতে পরে গেলে পুনরায় ০২ নং আসামীর হাতে থাকা রামনা দিয়ে আমাকে খুন করার উদেশ্যে মাথা লক্ষ্য করে কুপ মারলে আমি হামাগুড়ি দিয়ে কিছুটা সরে পরায় উক্ত কূপ আমার ডান হাতের বাহুতে লেগে  রক্তাক্ত জখম হয়। তখন আমার স্ত্রী জখমী ০১ নং স্বাক্ষী ও আমার মা (জখমী) ০২ নং স্বাক্ষী আসামীদের কবল থেকে আমাকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসলে ০২ নং আসামীর হাতে থাকা রামদা দিয়ে আমার মা ০২ নং প্রথমী স্বাক্ষকে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করে কুপ মারলে উক্ত কুপ আমার মায়ের ডান হাতের বাহুতে লেগে মারাত্মক জখম হয়। সাথে সাথে আমার মা মাটিতে লুটে পরে পুনরায় ০২ নং আসামী আমার মায়ের মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য আমার মায়ের মাথা লক্ষ্য করে কুপ মারলে উক্ত কূপ আমার মায়ের বাম বাহুতে লেগে জখম হয়। আমার স্ত্রী ০১ জখমী স্বাক্ষী আমার মাকে এবং আমাকে বাচানোর জন্য এগিয়ে আসলে ০৩নং আসামীর হাতে থাকা ধারালো দা দিয়া আমার স্ত্রীকে খুন করার উদেশ্যে মাথা লক্ষ্য করে কুপ মারলে উক্ত কুপ আমার স্ত্রীর উপরের ঠোঁটে লাগে মারাত্মক জখম হয়। 

আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় বকেয়া বেতনের দাবিতে দেড় ঘণ্টা সড়ক অবরোধ

০৫ নং আসামীর হাতে থাকা বাশের লাঠি দিয়া আমাকে এলোপাতারি বারি দিয়ে সারা শরীরে নীলা ফোলা বেদনদায়ক জখমকরে। ০৪ নং আসামী আমার স্ত্রী থমী ০১ নং স্বাক্ষীর কাপড়ে ধরে টানা হেছড়া করে শ্রীলতা হানি করে। আমাদের ডাক-চিৎকারে আশে পাশের স্বাক্ষীগনে এগিয়ে এসে আসিয়া আমদেরকে আসামীদের কবল থেকে জানে রক্ষা করে এবং আমাদেরকে উদ্ধার করে  অটোযোগে ০৩ নং  ৮নং এবং ০৯ স্বাক্ষীগণ আমাদেরকে তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করে।  আহতরা তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করা হয়। পরবর্তীতে উক্ত বিষয় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের জানালে তারা আমাকে তাড়াইল থানায় অভিযোগ দায়ের করতে পরামর্শ দেয়। আসামীগণের অন্যায় অত্যাচারে অতিষ্ট হতে আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হলাম।