কৃষ্ণচূড়া, সোনালু ও জারুল ফুলে রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে কুমিল্লা

গ্রীষ্মের শুরুতেই ফুলে ফুলে সেজেছে কুমিল্লা। কৃষ্ণচূড়া, সোনালু ও ঝারুল ফুলের বাহারি রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে কুমিল্লার বিভিন্ন সড়ক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও জনপদ। বিশেষ করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশে, কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশনসহ নগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলো ও পার্শ্ববর্তী গ্রামীণ অঞ্চলেও চোখে পড়ছে এই ফুলের সমারোহ।
কৃষ্ণচূড়ার আগুনরাঙা পাপড়ি, সোনালুর ঝুলন্ত হলুদ মালা আর ঝারুলের হালকা বেগুনি ছায়া যেন প্রকৃতিকে এক নতুন রূপে হাজির করেছে। পথচারী, শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় বাসিন্দারা এই রঙিন রূপে মুগ্ধ।
আরও পড়ুন: নাসিরনগরে আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালিত
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদাউস নিলু বলেন, “প্রতিদিন যখন ক্যাম্পাসে যাই, রাস্তার দুই পাশে এত সুন্দর ফুল দেখে মন ভরে যায়। মনে হয়, প্রকৃতি যেন নিজের রঙ দিয়ে আমাদের আনন্দ দিচ্ছে।”
আরও পড়ুন: সাভারে পাচারকালে পিকআপসহ সাড়ে ৬ লাখ টাকার টিসিবি’র পণ্য জব্দ, আটক-১
পরিবেশবিদদের মতে, এইসব মৌসুমি ফুল শহরের পরিবেশ সুন্দর রাখার পাশাপাশি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। তারা আরও বলেন, এসব ফুল শহরের জীববৈচিত্র্যেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
তবে সচেতন মহল মনে করছেন, কুমিল্লার এই ফুলেল সৌন্দর্য ধরে রাখতে প্রয়োজন যথাযথ পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণ। একইসঙ্গে আরও বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে নগরীর সবুজ পরিবেশকে টিকিয়ে রাখা জরুরি।
নজরুল গবেষক কবি ড. আলী হোসেন চৌধুরী বলেন, মানুষের মন বিভিন্ন কারণে বিষণ্ণা হয়। কৃষ্ণচূড়া, সোনালু ও জারুল ফুলের রঙে চোখ রাখলে তার মন প্রফুল্ল হয়ে ওঠে। কুমিল্লা নগরী একসময় বিভিন্ন ফল ও ফুলের গাছে ভরপুর ছিল। সেই গাছগুলো অনেক কমে গেছে। নগরীর সৌন্দর্য বাড়াতে কৃষ্ণচূড়া, পলাশ, সোনালু ও জারুল জাতীয় গাছের সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন।
কুমিল্লার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জি এম মোহাম্মদ কবির বলেন, মানুষের বেঁচে থাকার প্রয়োজনে উদ্ভিদের বিকল্প নেই। কৃষ্ণচূড়ার লাল, পলাশের লাল হলুদ, সোনালুর হলুদ ও জারুলের বেগুনি ফুল পরিবেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। নগরীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো এগিয়ে এলে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে তাদের গাছ দিয়ে সহযোগিতা করবো।