ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হবে সাতক্ষীরার ১২০ টন সুস্বাদু আম

Sadek Ali
সৈয়দ পান্না, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১:৩৫ অপরাহ্ন, ১৫ মে ২০২৫ | আপডেট: ৬:৩৬ অপরাহ্ন, ১০ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

সাতক্ষীরায় চলতি অর্থবছরে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৬২ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন। যার মধ্যে ১২০ মেট্রিক টন বাছাই করা আম রফতানি হবে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে।

সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

আরও পড়ুন: ইতিহাসের সবচেয়ে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে: প্রেস সচিব

অফিস কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে আরো জানা গেছে, জেলার ৪ হাজার ১৩৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। আম চাষিদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, পরামর্শ দিয়ে আম উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। সব মিলিয়ে দেশে-বিদেশে আমের মান ঠিক রেখে সাতক্ষীরার অর্জিত সুনাম রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা। সরকারি হিসেবে সাতক্ষীরায় আম বাগানের সংখ্যা ৫ হাজার ২৯৯টি। তবে, বেসরকারি হিসেবে এর সংখ্যা আরো অনেক বেশি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তা শভ্যসাচী কয়াল জানান, গোবিন্দ ভোগ আম পাড়ার মধ্য দিয়ে ইতোমধ্যে সাতক্ষীরার আম স্থানীয় বাজারসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি শুরু হয়েছে। আগামী ২০ মে পরিবর্তে  বৃহস্পতিবার (১৫ মে) থেকে হিমসাগর আম পাড়া শুরু হয়েছে। এরপর পর্যায়ক্রমে ল্যাংড়া ২৭ মে ও আম রুপালি ৫ জুন বাজারে আসবে।

আরও পড়ুন: ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বাতিলের দাবিতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে মানববন্ধন

তিনি বলেন, ২০১৬ সাল থেকে সাতক্ষীরার আম রফতানি হচ্ছে ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। তবে, হিমসাগর ও আম রুপালি চাহিদা রয়েছে সবচেয়ে বেশি।

সাতক্ষীরার আমই দেশের বাজারে সবচেয়ে আগে আসে, উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন দেশের বাজারে সাতক্ষীরার আগাম পাওয়ার কারণে চাহিদাও থাকে সবচেয়ে বেশি। এ জেলার আমের স্বাদে অতুলনীয়, মন্তব্য করেন এই কৃষি কর্মকর্তা।

তিনি আরো বলেন, এ বছর প্রায় ৪০০ কোটি টাকার আম বিক্রি ও রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে, কোনোভাবেই যেন কেমিক্যাল বা ক্ষতিকর পদার্থ ব্যবহার করে আম পাকানো না হয়, সে বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। আরো বলেন নির্ধারিত সময়ের আগে আম পেড়ে কেমিক্যাল মিশিয়ে আম পাকানোর অপরাধে ইতোমধ্যে একাধিক ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতে। নষ্ট করা হয়েছে ২২ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন আম।

সাতক্ষীরার বড় বাজারের, মোকাররম হোসেন, মোঃ জাকির হোসেন সহ কয়েকজন আম চাষি বলেছেন, সময় মতো বৃষ্টি না হওয়ায় আমের সাইজ একটু ছোট হয়েছে। তারপরও ফলন খুব ভালো। দেশে ও দেশের বাইরে সাতক্ষীরার আমের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি না হলে এবছর বাজারে আমের দাম ভালো থাকায় আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন বলে আশা করছেন