বগুড়ায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী গ্রেপ্তার, মরদেহ নিতে পুলিশের ৯৯৯ ফোন

ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পুলিশকে মরদেহ নিয়ে যেতে ৯৯৯ এ ফোন দেয় স্বামী সাজ্জাদ হোসেন মানিক (২১)। পরে র্যাব-৪ ও র্যাব-১২ এর যৌথ অভিযান চালিয়ে বগুড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত শনিবার সন্ধ্যায় বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: সাভারে পাচারকালে পিকআপসহ সাড়ে ৬ লাখ টাকার টিসিবি’র পণ্য জব্দ, আটক-১
গ্রেপ্তার সাজ্জাদ হোসেন মানিক নওগাঁ সদরের আক্কাস আলী মোল্লার ছেলে। তিনি হত্যার উদ্দেশ্যে নওগাঁ থেকে বেড়ানোর কথা বলে স্ত্রীকে সাভারে নিয়ে যায়। নিহত স্ত্রীর নাম রুমানা আক্তার (১৮), তিনি রংপুর জেলার পীরগাছা থানার সোনারায় গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে।
র্যাব সূত্রে জানা যায় যে, রোমানা আক্তারের সঙ্গে সাজ্জাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় এরপর উভয় পরিবারের সম্মতি ক্রমে বিবাহ হয় গত বছরের ৩০শে জুলাই। বিবাহের পর থেকে রোমানা তার স্বামীর সঙ্গে নওগাঁয় তার শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করতে থাকেন। তবে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। এর জেরে সাজ্জাদ তার স্ত্রী রোমানাকে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করতো। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ভাবে একাধিক বার সালিশ দরবার হয়। তবে গত ১০ই এপ্রিল সাজ্জাদ হোসেন স্ত্রী রুমানাকে নিয়ে বড় ভাইয়ের ভাড়া বাসা সাভারে বেড়াতে যায়। গত ২৩শে এপ্রিল সকাল ৯টার সময় রোমানার বাবা জানতে পারে যে তার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। খবর পেয়ে রোমানার বাবা ঘটনা স্থলে এসে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে তার তার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করে মরদেহ উদ্ধার করতে বলে পালিয়ে যায় সাজ্জাদ। এঘটনায় রোমানার বাবা বাদি হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর থেকে ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব-৪। পরে র্যাব-৪ ও র্যাব-১২ এর যৌথ অভিযান চালিয়ে বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাজ্জাদ হোসেন মানিককে বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজি নয়, নেপথ্যে নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণ কাহিনী