ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির মহাসচিবের ভাইয়ের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:১১ অপরাহ্ন, ১২ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১০:০৩ অপরাহ্ন, ১২ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভাই ঠাকুরগাঁও জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন হামলার শিকার হয়েছেন। এ সময় তাঁকে বহনকারী গাড়ি ভাঙচুর করেন দলের নেতা-কর্মীরা।

শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে নেতা নির্বাচনের ফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা থামাতে এসে ফয়সল আমিন এই হামলার শিকার হন। সমিরউদ্দীন স্মৃতি কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন নিয়ে বিএনপি'র দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। হামলা ঠেকাতে গিয়ে উজ্জল নামের বিএনপির এক কর্মী আহত হন। তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলী সরকার জানান, উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে ফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ২ ঘণ্টা ধরে উত্তেজনা চলছিল সমিরউদ্দীন স্মৃতি কলেজ। ফল ঘোষণার সাহস পাচ্ছিলেন না উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকা নেতারা। পরে অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ঠাকুরগাঁও থেকে রাত ৮টায় ভোটকেন্দ্রে আসেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন। তিনি ফল ঘোষণা করে ফেরার সময় তাঁর ওপর চেয়ার ছুড়ে মারেন দলের কিছু নেতা-কর্মী। এ সময় তাঁর প্রাইভেট কারের সামনের ও পেছনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

আরও পড়ুন: সৌন্দর্যের স্বর্গরাজ্য ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর কোথায় গেল?

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পলাশ কুমার দেবনাথ বলেন, উপজেলা বিএনপির কমিটির নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর ভবনের তৃতীয়তলা থেকে নিচে নামার সময় হঠাৎ করেই ঘটনাটি ঘটেছে। আমরা হামলাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

প্রাইভেট কারে থাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতা রাশেদ আলী বলেন, ‘কোনোমতে ভাইকে রক্ষা করেছি। সঙ্গে যাঁরা ছিলেন, অন্য গাড়িতে করে মহাসচিবের ভাইকে পার করে দিয়েছি। তবে রাতে আলো কম থাকায় হামলাকারীদের চিনতে পারিনি।’

এর আগে বেলা আড়াইটার দিকে বালিয়ডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৫টায় ভোট গ্রহণ শেষে গণনার সময় সভাপতি পদে দুই ভোট নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এরপর অবরুদ্ধ হয়ে যান জেলা থেকে আসা বিএনপির নেতারা। পরে সম্মেলনে সৈয়দ আলমকে সভাপতি, ড. টি এম মাহবুবর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক এবং অয়ন চৌধুরী সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়।