সাভারে চাঁদাবাজি-জমি দখলদের আশ্রয়দাতা যুবদল নেতা শাওন সরকার ও জামাল সরকার

সাভারের হেমায়েতপুর এলাকায় পুলিশের চোখ এড়িয়ে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি, জমি দখল ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে অভিযোগ উঠেছে এক প্রভাবশালী চক্রের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের মতে, এদের অবৈধ কার্যক্রমকে রাজনৈতিক ছত্রছায়া দিচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতা লুৎফর খান ও তার আশেপাশের দুই নেতা কথিত যুবদল নেতা শাওন সরকার ও সাবেক চেয়ারম্যান ও হলমার্ক মামলার দণ্ডিত আসামি জামাল সরকার।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন হেমায়েতপুর ফুটপাত ও সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে হাজার হাজার টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। চাঁদার মূল মোটিভ ও সংগঠক হিসেবে তারা লুৎফর খানের ভাতিজা বদল খান ও জুয়েল খানকে পরিচয় দেন। প্রতারিতদের বড় অংশ এ টাকা শাওন ও জামাল সরকারের কাছে পৌঁছে যায়, যার ফলে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে তারা স্থানীয় প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থেকে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজি নয়, নেপথ্যে নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণ কাহিনী
২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে লুৎফর খান এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় ৫ আগস্ট-এর ঘটনায় ছাত্ররা রাজীব সমরের বাড়ি ভাঙার চেষ্টা করলে জামাল সরকারের নির্দেশে বদল ও লুৎফর খান বাড়ি রক্ষা করে হামলাকারী ছাত্রদের মারধর করেন। এ ঘটনার পর প্রশাসন নীরবে থাকায় স্থানীয়রা প্রশ্ন তুলেছেন।
এছাড়া বদল খান দীর্ঘদিন জমি দখল ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। এসব ঘটনায় পুলিশে বদল ও হৃদয় নামে তার দুই ভাইয়ের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। হেমায়েতপুরে ঘোরাঘুরি করছেন শাওন ও জামাল সরকারের সাথে সঙ্গেও, পুলিশের অত্যধিক প্রভাবের কারণে তাদেও হাতের নাগালে নেই।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় বকেয়া বেতনের দাবিতে দেড় ঘণ্টা সড়ক অবরোধ
প্রসঙ্গত, জামাল সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নামে অবৈধ ক্ষমতা ও অর্থনৈতিক সুবিধা গঠনের। ২০১৬ সালের ইউনিয়ন নির্বাচন থেকে সরে গিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে জয়ী করতে সাহায্য করেন। বর্তমানে জামাল-শাওনের নামে চলমান হলমার্ক কেলেঙ্কারিতেও দুদকের মামলায় একজন দণ্ডিত হয়েছেন।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর জামাল সরকার নিজের নিরাপত্তার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও নাজিম উদ্দিনের ছেলের সঙ্গে আত্মীয়তা গড়ে ক্ষমতাসীন ধীরভাবে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, বর্তমানে হেমায়েতপুরে শাওন সরকার দখলবাজি, মাদক–অস্ত্র বেচাকেনা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত। প্রশাসনের নিরবতায় রাজনৈতিক প্রভাব থাকায় এই অপরাধগুলো নিরব স্রোত ধরে চলছে।