কক্সবাজারে জমি বিরোধে জামায়াত নেতার হামলায় বিএনপি নেতা নিহত

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:৫০ অপরাহ্ন, ১৫ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ৪:১০ অপরাহ্ন, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

কক্সবাজার সদরের ভারুয়াখালী ইউনিয়নে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে জামায়াত নেতার নেতৃত্বে সংঘটিত হামলায় রহিম উদ্দিন সিকদার (৫৫) নামে এক বিএনপি নেতা নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত রহিম উদ্দিন ভারুয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও যুবদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন।

আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মদপানে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে আরও ১

পারিবারিক সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে একটি জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধের জেরে গত রবিবার (১৩ জুলাই) রাতে রহিম উদ্দিন ও তাঁর ভাইদের উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়।

নিহতের বড় ভাই ও ভারুয়াখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান অভিযোগ করেন, হামলার নেতৃত্ব দেন ফাতেরঘোনা ইউনিট জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি আব্দুল আল নোমান। তার সঙ্গে জড়িত ছিলেন জামাতা মিজান, মুজিব, এনামসহ আরও কয়েকজন।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে উৎপাদনশীল করতে হলে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে: ড. মঈন খান

প্রথমে আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রহিম উদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়লে তাঁকে চট্টগ্রামের এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে তিনি মারা যান।

ঘটনার পরপরই কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্ত মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস বলেন, “প্রাথমিকভাবে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কক্সবাজার জেলা যুবদল। সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ আহম্মেদ উজ্জল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে লেখেন, “ফাতেরঘোনা জামায়াত সভাপতির হাতে আমাদের প্রিয় সহকর্মী, সাবেক যুবদল নেতা রহিম উদ্দিন সিকদার নিহত হয়েছেন। আমরা এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই।”

অভিযোগের বিষয়ে জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও অভিযুক্ত আব্দুল আল নোমানকে পাওয়া যায়নি। জেলা জামায়াতের আমীর নুর আহমদ আনোয়ারীর মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এছাড়া জামায়াতের জনসংযোগ বিভাগেও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় পুলিশি টহল ও নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।