সোহরাওয়ার্দীতে জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে জনস্রোত, ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হিসেবে দেখছে নেতৃত্ব

বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ করছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। শনিবার (১৯ জুলাই) সকাল থেকেই ঢাকামুখী মিছিল আর স্লোগানে উদ্যানজুড়ে সৃষ্টি হয় জনসমুদ্রের।
‘জাতীয় সমাবেশ ২০২৫’ শীর্ষক এই কর্মসূচির মূল পর্ব শুরু হওয়ার কথা দুপুর ২টা থেকে হলেও সকাল ৯টা ৪০ মিনিটেই সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে সমাবেশের সূচনা হয়। সাইফুল্লাহ মানসুরের উপস্থাপনায় সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী এবং বিভাগীয় সাংস্কৃতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে জমে ওঠে আয়োজনের প্রথম পর্ব।
আরও পড়ুন: বৃষ্টির অজুহাতে সেতু নির্মাণ কাজ বন্ধ, লাপাত্তা ঠিকাদার
উদ্যানজুড়ে বসানো হয়েছে জামায়াতের প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ ও বড় LED স্ক্রিন। মঞ্চ ও অতিথিদের আসন তৈরি করা হয়েছে লাল কার্পেট ও অস্থায়ী ছাউনি দিয়ে। শহীদ পরিবার, প্রবাসী প্রতিনিধি ও আমন্ত্রিতদের জন্য আলাদা আসনের ব্যবস্থা রাখা হয়।
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থেকে আসা সোহেল হাসান জানান, “আমাদের উপজেলা থেকেই ৪০টি বাসে প্রায় ৩০ হাজার কর্মী ঢাকায় এসেছেন।” সিরাজগঞ্জ থেকে আসা আরেক কর্মী বলেন, “আমাদের জেলা থেকেও ৩০-৪০ হাজার কর্মী এসেছে ট্রেন ও বাসে।
আরও পড়ুন: আসামির স্থলে ছবি প্রকাশে ছাত্রদল নেতার সংবাদ সম্মেলন
নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার জন্য ২০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করছেন। সমাবেশস্থলে বসানো হয়েছে ৩৩টি এলইডি স্ক্রিন, ৩০০ মাইক, মেডিকেল বুথ, ভ্রাম্যমাণ টয়লেট ও নামাজের জায়গা।
দুপুরে জামায়াতের নায়েবে আমীর সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, এই সমাবেশ স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জনসমাগম হবে। আমাদের সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, গণহত্যার বিচার, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা এবং প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা।”
এটি জামায়াতের জন্য শুধু একটি সমাবেশ নয়, বরং আগামী নির্বাচন ও জাতীয় রাজনীতিতে ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হয়ে উঠবে বলে নেতারা আশা প্রকাশ করেছেন।