স্ত্রীর পরিবারের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ

নবীগঞ্জে ভালোবেসে বিয়ের ৪ মাসের মাথায় যুবকের আত্মহত্যা

Sanchoy Biswas
স্বপন রবি দাশ, নবীগঞ্জ হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৭:৩৫ অপরাহ্ন, ০১ অগাস্ট ২০২৫ | আপডেট: ৪:০২ অপরাহ্ন, ১০ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় ভালোবেসে বিয়ের ৪ মাসের মাথায় প্রেমিকার বাড়িতে আত্মহত্যা করেছে সেতু মিয়া (১৭) নামে এক যুবক।

সেতু মিয়া নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামের মৃত দুলাল মিয়ার ছেলে।

আরও পড়ুন: ফের ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম রবি শিক্ষার্থীদের

ঘটনাটি ঘটে গত ২৭ জুলাই (রবিবার) দুপুর ২টার দিকে নবীগঞ্জ উপজেলার ১১ নং গজনাইপুর ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামে। গত ৩০ জুলাই রাত ১২টা ৩০ মিনিটে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, সেতুর বনগাঁও গ্রামের এক তরুণীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে মেয়ের পরিবার বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। পরে সামাজিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। তবে বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই দাম্পত্য কলহ শুরু হয়।

আরও পড়ুন: সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে মাধবপুরে মানববন্ধন

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, সেতুর স্ত্রী আরিফা বেগম সবসময় টাকার জন্য চাপ দিতেন এবং তাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। সম্প্রতি স্ত্রী বাবার বাড়িতে চলে গেলে সেতুকেও সঙ্গে নিয়ে যান।

২৭ জুলাই এক অজ্ঞাত সিএনজি চালক সেতুর মায়ের মোবাইলে ফোন করে জানান, বনগাঁও গ্রামের মতলিব মিয়ার বাড়ির সামনে রাস্তার পাশে সেতু মিয়া অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। তার মায়ের অনুরোধে পরে তাকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্মরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় দুই দিন থাকার পর তার মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানাকে অবহিত করা হলে এসআই মো. খবির উদ্দিন ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, “নিহতের মায়ের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হলেও, পরিবারের পক্ষ থেকে পারিবারিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠায় বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে এবং দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। একইসঙ্গে সামাজিকভাবে পারিবারিক সহিংসতা ও মানসিক চাপে আত্মহত্যা প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়ানোর দাবি উঠেছে।