দুই বছর সংসার, তারপর অস্বীকৃতি, স্বামীর বাড়ির সামনে স্ত্রীর অনশন

Sanchoy Biswas
‎নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১:২৩ অপরাহ্ন, ০১ অগাস্ট ২০২৫ | আপডেট: ৫:২২ অপরাহ্ন, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার হিড়িভিটা গ্রামে স্বামীর স্বীকৃতির দাবিতে স্বামীর বাড়ির সামনে অনশন করছেন সুমি আক্তার নামে এক তরুণী। তিনি উপজেলার ভিতরগাঁও গ্রামের ফজলুল হকের মেয়ে।

‎সুমির অভিযোগ, ২০২৩ সালের ২৯ জুন মো. হানিফ মিয়ার সঙ্গে তিন লাখ টাকা কাবিনে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক গোপনে বিয়ে হয় তাদের। বিয়ের পর তারা ময়মনসিংহ শহরের সানকিপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় একসঙ্গে বসবাস শুরু করেন। তবে সুমির পারিবারিক আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় শুরু থেকেই হানিফের পরিবার এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি।

আরও পড়ুন: কৃষক দল নেতা খন্দকার নাসিরের অপকর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তারেক রহমানের কাছে মহিলা দলনেত্রীর আবেদন

‎দীর্ঘ দুই বছর সংসার করার পর হানিফ পারিবারিক চাপে সুমিকে ফেলে রেখে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন বলে অভিযোগ করেন সুমি। একপর্যায়ে নিরুপায় হয়ে স্বামীর স্বীকৃতি আদায়ে হানিফের বাড়িতে অবস্থান নেন তিনি।

‎তবে সুমির দাবি, সেখানে হানিফের পরিবারের সদস্যরা তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে বাড়ি থেকে বের করে দেন এবং ঘরে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান। বর্তমানে সুমি আক্তার স্বামীর স্বীকৃতির দাবিতে বাড়ির সামনে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে পার্কিং করা যাত্রীবাহী বাসে রহস্যজনক আগুন

‎এলাকাবাসীরা জানান, আমরা শুনেছি ওরা বিয়ে করে সংসার করছিল। এখন অস্বীকার করে মেয়েটাকে মারধর করে তাড়িয়ে দিয়েছে।

‎এ বিষয়ে হানিফ মিয়া ও তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনেও সাড়া মেলেনি।

‎পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আলম বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।