পঞ্চগড়ে এক কিলোমিটার রাস্তা কাদা-গর্তে ভরা, শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামত

Sanchoy Biswas
মো. আসিফুজ্জামান আসিফ, পঞ্চগড়
প্রকাশিত: ১১:২৭ অপরাহ্ন, ১১ অগাস্ট ২০২৫ | আপডেট: ৬:৩৪ অপরাহ্ন, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

পঞ্চগড় সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের মালাদাম বাজার থেকে নলেহাপাড়া পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দে ভরা। সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টিতে সড়কজুড়ে কাদা জমে তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীসহ দুই সহস্রাধিক মানুষের যাতায়াত চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে। স্থানীয়ভাবে কয়েক দফা সংস্কার করলেও সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয়নি।

পাকা রাস্তার অভাবে প্রতিদিনই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থী, ইজিবাইক চালক ও সাধারণ পথচারীদের। অনেক সময় কাদায় পা পিছলে পড়ে আহত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা, নষ্ট হচ্ছে তাদের বইখাতা ও স্কুল ড্রেস।

আরও পড়ুন: দেবীদ্বারের কৃষিতে ফিরেছে সবুজ হাসি

এই পরিস্থিতিতে সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরের বিরতিতে মালাদাম আদর্শ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক স্বেচ্ছাশ্রমে সড়কের কাদা সড়িয়ে খানাখন্দে বালি ফেলে চলাচলের উপযোগী করে তোলেন।

বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী জুঁই আক্তার বলেন, এই সড়ক দিয়ে বিদ্যালয়ে আসা খুব কষ্টকর। কাদা আর বড় বড় গর্তে হাঁটা যায় না। অনেক সময় পড়ে গিয়ে বই ও ড্রেস ভিজে যায়, এমনকি আমরা আহতও হই।

আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গলাকেটে ও গুলি করে সাবেক ছাত্রদলকর্মীকে হত্যা

দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী জয়ন্ত চন্দ্র রায় বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কষ্ট করে যাতায়াত করছিলাম। আজ সবাই মিলে রাস্তা মেরামত করেছি। আমরা চাই সড়কটি স্থায়ীভাবে পাকা করা হোক।

বুড়িরবান এলাকার বাসিন্দা প্রসন্ন চন্দ্র রায় জানান, এই সড়ক দিয়ে তিনটি ইউনিয়নের ২০ হাজারের বেশি মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে। বিশেষ করে কৃষিপণ্য বাজারে নিতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ভ্যানে করে পণ্য নেয়া যায় না, ঘুরপথে যেতে হয়। বর্ষাকালে কষ্টের সীমা ছাড়িয়ে যায়।

মালাদাম আদর্শ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাদেকুল ইসলাম বলেন, ইউপি সদস্য ও বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একাধিকবার সংস্কার করেও স্থায়ী সমাধান হয়নি। অতি দ্রুত সড়কটি পাকা করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

ধাক্কামারা ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শহিদুল ইসলাম জানান, প্রতিবছরই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অন্তত তিনবার এই সড়ক সংস্কার করা হয়। কিন্তু বর্ষায় খানাখন্দ ও কাদা আবার দেখা দেয়। তিনি স্থায়ী সমাধানের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন।