তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপরে, পানিবন্দি হাজারো পরিবার

তিস্তা নদীর পানি আবারও বিপদসীমার ওপরে প্রবাহিত হওয়ায় লালমনিরহাট জেলার বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
সোমবার দিবাগত রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে ডালিয়া পয়েন্টে ৫২.১৮ মিটার রেকর্ড করা হয়, যা বিপদসীমা (৫২.১৫ মিটার) অতিক্রম করেছে।
আরও পড়ুন: নাজিরপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা
হঠাৎ করে পানির প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় জেলার হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী, পাটগ্রাম ও সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামগুলো পানির নিচে চলে গেছে। বিশেষ করে হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান, সিন্দুর্না ও ছয়আনী ইউনিয়নের শত শত পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। কালীগঞ্জের ভোটমারী ও নোহালী ইউনিয়নে রাস্তা-ঘাট ডুবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আদিতমারীতে মহিষখোচা, গোবর্ধন ও পলাশী ইউনিয়নে ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সদর উপজেলার কুলাঘাট, খুনিয়াগাছ, মোগলহাট ও রাজপুর ইউনিয়নে নতুন করে বসতবাড়ি ও বাজার এলাকায় পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
তিস্তা ব্যারাজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বাড়তি পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৪৪টি জলকপাট পুরোপুরি খুলে রাখা হয়েছে। তারপরও পানি প্রবাহ বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: পিরোজপুর জেলা বিএনপির নতুন কমিটিকে জামায়াতের শুভেচ্ছা
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টায় তিস্তার পানি আরও বাড়তে পারে। এতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
প্রতিদিনের মতো নদীভাঙনও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। তিস্তার তীরবর্তী অনেক স্থানে ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পানিবন্দী পরিবারগুলো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবীরা জানান, ইতোমধ্যে অনেক পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছে। তবে সরকারি ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানো এখনো পর্যাপ্ত নয় বলে অভিযোগ রয়েছে।