টাঙ্গাইলের ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের দুই নেতা ঢাকায় গ্রেপ্তার

Sadek Ali
শফিকুজ্জামান খান মোস্তফা, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১২:৪৮ অপরাহ্ন, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের দুই প্রভাবশালী নেতাকে রাজধানী ঢাকায় পৃথক অভিযানে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—টাঙ্গাইল শহর শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাইজীদ বোস্তামী এবং বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম।

আরও পড়ুন: নাজিরপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে বাইজীদ বোস্তামীকে গ্রেপ্তার করে টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশ। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানবীর আহম্মেদ জানান, তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। একটি মামলায় আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তাকে টাঙ্গাইল কোর্টে পাঠিয়ে রিমান্ড আবেদন করা হবে।

অন্যদিকে, গত সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মিরপুর এলাকার একটি বাসা থেকে কাজী অলিদ ইসলামকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি’র গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের আরও ১২ নেতাকর্মীর সঙ্গে তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: পিরোজপুর জেলা বিএনপির নতুন কমিটিকে জামায়াতের শুভেচ্ছা

বাইজীদ বোস্তামী দীর্ঘদিন ধরে টাঙ্গাইল শহর ছাত্রলীগের নেতৃত্বে সক্রিয় ছিলেন। তার বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল সদর থানায় নানা অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। অন্যদিকে, কাজী অলিদ ইসলাম বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রভাবশালী ছিলেন। তিনি একসময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দলীয় অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, নিষিদ্ধ ঘোষণার পরও সাংগঠনিক কার্যক্রম চালানো এবং বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার কারণে নেতাদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এমন পদক্ষেপ নিয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে হাজির করার পর তদন্তে নতুন তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় টাঙ্গাইলের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। স্থানীয়ভাবে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এর কী প্রভাব পড়বে—সেটি এখন দেখার বিষয়।