শঙ্কায় দিন কাটছে যমুনা পাড়ের মানুষ

যমুনার গর্জনে বিলীন ঘর-বাড়ি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান

Sanchoy Biswas
বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৯:৫৬ অপরাহ্ন, ১২ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১:১২ অপরাহ্ন, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বগুড়া ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের শহরাবাড়ি ঘাটে ভয়াবহ যমুনার ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বন্দরের একাংশ। গত কয়েক দিন যাবত উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টির কারণে যমুনা নদীতে অস্বাভাবিক গতিতে পানি বৃদ্ধি পায় এবং পরে আস্তে আস্তে পানি কমতে শুরু করেছে। যমুনার পানি বৃদ্ধির পর কমতে শুরু করায় প্রবল স্রোতে নদীর পাড়ে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে বেশ কিছু দোকান ও প্রায় ৭০ বিঘা জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

এই যমুনার ভাঙন আতঙ্কে আরও অনেক ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দোকান সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ঘাট এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সমতল ভূমি ধসে পড়ে যমুনার পেটে চলে যাচ্ছে। আর এই যমুনার ভাঙন ধেয়ে আসছে বাঁধের দিকে। যার ফলে শঙ্কায় দিন পার করছেন যমুনা পাড়ের অসহায় মানুষ। এদিকে যমুনা নদীর বুকে ভেসে বেড়াচ্ছে গাছের গুড়ি, ভাঙা ঘরের টিন, কাঠ, বাঁশের টুকরো আর মানুষের কান্নাকাটির আহাজারি।

আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মদপানে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে আরও ১

স্থানীয়দের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কিছু প্রভাবশালী বালু খেকোদের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ এই অঞ্চলের অসহায় সাধারণ মানুষগুলো। যমুনা নদীর কিনারা থেকে দিনরাত চলে তাদের এই অবৈধ বালু ব্যবসার মহাযজ্ঞ। প্রশাসনের কাছে ধরনা দিয়েও কোনো কাজ হয়নি। বরং নানা রকম ভয়-ভীতি আর আতঙ্কে দিন কাটাতে হয়। তাই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন বিভিন্ন ব্যবসায়ী। সেই সঙ্গে অসহায় সাধারণ মানুষের স্মৃতি আর স্বপ্ন নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে।

এই বালু খেকোদের দৌরাত্ম্য আর প্রশাসনের নীরবতায় হারিয়ে যাচ্ছে এক সময়ের বন্দর। তাই দ্রুত সময়ে পদক্ষেপ না নিলে শতাধিক দোকানপাট ও ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চলে যাবে যমুনা নদীর গর্ভে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে উৎপাদনশীল করতে হলে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে: ড. মঈন খান

এ বিষয়ে বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক জানান, ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের শহরাবাড়ি ঘাটে ভয়াবহ যমুনার এই ভাঙন রক্ষায় আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। পানি কমে গেলে এই ভাঙনের স্থায়ী সমাধান করা হবে বলে জানান তিনি।