নাসিরনগরে এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার এনসিপি নেতা আসাদ খোকনের বিরুদ্ধে স্থানীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করেছেন গ্রামবাসী।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১০ অক্টোবর ২০২৫ ইং তারিখে উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের লক্ষীপুর মৌজার ৯৫০ ও ৯৬৩ দাগের একটি খাস পুকুর ইজারার প্রকাশ্য ডাক হওয়ার কথা ছিল।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় প্রায় ৩৫২ বছরের প্রাচীন মধুগঞ্জেশ্বরী কালীপূজা অনুষ্ঠিত
লক্ষীপুর গ্রামের মনির মিয়া গং সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে ডাকে অংশ নিতে আসার পথে এনসিপি নেতা আসাদ খোকনের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের উপর এলোপাতাড়ি হামলা চালায় এবং এক ভীতিকর ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
উক্ত সন্ত্রাসী ঘটনায় পথচারীসহ তাদের অন্তত ৫ জন আহত হন। এ বিষয়ে লক্ষীপুর গ্রামের জনৈক মনির মিয়া বাদী হয়ে ১১ জনের বিরুদ্ধে নাসিরনগর সহকারী কমিশনার (ভূমি)-এর নিকট অভিযোগ দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় সেন্ট্রাল হাসপাতালে নারী রোগীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ৩ গ্রেপ্তার
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, লক্ষীপুর মৌজার ৯৫০ ও ৯৬৩ দাগের খাস পুকুরটি আগে লক্ষীপুর গ্রামের মসজিদ-মাদরাসার নামে ছিল। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে উক্ত খাস পুকুরটি আসাদ খোকন ইজারা নিয়ে ভোগদখল করে আসছেন।
এই বছর উক্ত পুকুরের মেয়াদ শেষ হলে গ্রামের লোকজন পুকুরটি গ্রামের মসজিদ, মাদরাসা ও কবরস্থানের নামে নেওয়ার প্রস্তুতি নিলে এনসিপি নেতা আসাদ খোকন বাদীকে হুমকি প্রদান করেন। পরে বাদী গং ১০ তারিখে ইজারায় অংশ নিতে আসলে আসাদ খোকন তার ভাড়াটিয়া বাহিনী দ্বারা অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাদের জখম করে এবং মনির মিয়ার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা, রুকন মিয়ার কাছ থেকে ত্রিশ হাজার টাকা ও বলু মিয়ার কাছ থেকে এক হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
মানববন্ধনকারীরা প্রশাসনের নিকট দাঙ্গাবাজ, ভূমিদস্যু আসাদ খোকন ও তার লাঠিয়াল বাহিনীর দ্রুত গ্রেফতার ও কঠিন শাস্তি দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে এনসিপি নেতা আসাদ খোকনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকাকে জানান, “মারামারির ঘটনার সময় আমি, নায়েব সাহেব ও এসি ল্যান্ড— আমরা নাসিরনগর এসিল্যান্ড অফিসে ছিলাম। ঘটনার পর আমরা বাইরে বের হয়ে মারামারির পরবর্তী পরিস্থিতি দেখতে পাই। এই ঘটনার সূত্রে বিকেলে আমি বাড়ি থেকে আসার পথে আমার উপর আক্রমণ করা হয়। প্রাণভয়ে আমি আনন্দপুরের একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে থানায় ফোন করি, পরে ওসি সাহেব আমাকে উদ্ধার করেন। যার সত্যতা ওসি সাহেবকে কল করলে জানতে পারবেন।”
এ বিষয়ে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীনা নাছরিন বলেন, “ঘটনাটি সম্পর্কে অভিযোগ পেয়েছি, আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।”
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাকছুদ আহমেদ এর সঙ্গে এ বিষয়ে জানতে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।